মঈন উদ্দীন: [২] করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রেড জোনে ঢুকে পড়েছে রাজশাহী মহানগরী। তবে এখনই আসছে না লকডাউন। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগরে বসবাস করেন প্রায় ৮ লাখ মানুষ। রেড জোনের শর্ত অনুযায়ী, প্রতি লাখ মানুষের ভেতর ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেই এলাকা রেড জোনে পড়বে। বিগত ১৪ দিনের তথ্য অনুসারে রাজশাহী মহানগর এখন রেড জোনে রয়েছে।
[৩] এছাড়া জেলার চারঘাট, বাঘা, তানোর, পবা ও মোহনপুর উপজেলা পড়ছে রেড জোনে। অন্য উপজেলাগুলো রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনের মধ্যে উঠানামা করছে। তবে বেশিরভাগ সময়ই থাকছে ইয়েলো জোনে। তবে রাজশাহীর কোথাও এখনই লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে না। সিভিল সার্জন বলেন, রেড জোন ঘোষণার শর্ত এক আবার লকডাউন ঘোষণার শর্ত আরেক। লকডাউন ঘোষণা করতে হলে বিবেচনা করতে হবে রোগীরা কোথায় আছেন, কোন পাড়া-মহল্লায় কতজন রোগী- এ রকম নানা বিষয় বিবেচনা করতে হয়। দেখা যাচ্ছে, কোন উপজেলায় ১৫ জন রোগী। কিন্তু তিনটি বাড়িতেই ১২ জন। তাহলে তিনটি বাড়ির জন্য গোটা এলাকা বা উপজেলা লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। কারণ, ওই তিনটি বাড়িই তো লকডাউন আছে।
[৪] সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা ও মহানগরে ৩২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯ জনই আছে রাজশাহী সিটিতে। এর বাইরে জেলার পুঠিয়ায় ১২, দুর্গাপুরে ৭, বাগমারায় ১৩, তানোরে ১৭, গোদাগাড়ীতে ২, বাঘা ও চারঘাটে ১৫ জন করে এবং পবা ও মোহনপুরে ২৩ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :