ইসমাঈল ইমু : [২] নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞায় বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আরও বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলের নিষ্কন্টক ভৌগলিক অধিকার।
[৩] তিনি বলেন, বিস্তীর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব ও সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষা এবং সরকারের ব্লু-ইকোনমি প্রকল্প বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর গুরুত্ব এবং কার্যপরিধি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফ্ট, হেলিকপ্টার, আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ এবং সর্বোপরি দুটি সাবমেরিন সংযোজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে।
[৪] তিনি আরো বলেন, নবীন কর্মকর্তারা নেভাল একাডেমি থেকে অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেয়ায় নৌপ্রধান নবীন কর্মকর্তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রধান অতিথি নবীন কর্মকর্তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
[৫] নৌপ্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও কাজকর্ম স্থবির এবং সীমিত আকারে পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছি। প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে অভিযোজনের মাধ্যমে চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে নবীন কর্মকর্তারা যে অদম্য আগ্রহ ও দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
[৬] বুধবার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়ার অনুষ্ঠানে প্রথান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বিশ্বব্যাপী সংক্রমক এই প্রাকৃতিক মহামারীর মাঝেও একাডেমির যে সকল কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ নবীন কর্মকর্তাদের এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করেছেন, তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ