মিনহাজুল আবেদীন : [২] বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। চাকরি ব্যবসা হরিয়ে মানুষ দিশেহারা। বাংলানিউজ
[৩] এ অবস্থায় মানুষের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে সরকার যখন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে ব্যস্ত, তখন বিতর্কিত কর্মকান্ডে মেতে আছেন তিন জনপ্রতিনিধি। দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুর্ণ হয়েছে। তিনি ল²ীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল।
[৪] অর্থ ও মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন এমপি পাপুল। অদৃশ্য জাদুর ছোঁয়ায় পাপুল তার স্ত্রীকেও বানিয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য।
[৫] এমপি পাপুল ও এমপি সেলিনা ইসলাম দম্পতির মাফিয়া সিন্ডিকেট মাত্র ৭-৮ বছরেই বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
[৬] অন্য দুইজন হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক। তারা দুজনেই সরকার দলীয়। গণমানুষের দুর্দিনেও তারা জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বেপরোয়া কর্মকান্ডে। তাদের আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনরাও করে বেড়াচ্ছেন না অপকর্ম।
[৭] পাপিয়াকান্ডের জড়িয়ে গেছে এমপি নাইমুর রহমান দুর্জয়ের নাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে।
[৮] এছাড়া আরিচায় বিআইডব্লিউটিএর বিশাল টার্মিনাল দখল করে দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসা চলছে এমপি দুর্জয়ের নামেই। আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে অবৈধভাবে স্পিডবোটের ব্যবসাটিও তার দখলেই। কোনো শিল্পপতি জমি কিনতে গেলেই তাঁর চাচা চাঁদা দাবি করেন।
[৯] রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) এমপি এনামুল হকের নামে অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে মানুষকে চাকরি দেয়া। তবে বেশির ভাগ নিয়োগ পেয়েছে জামায়াত-বিএনপির লোকজন। শুধু চাকরি নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে বিএনপি-জামায়াতের লোকদেরই বসিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :