তৌহিদুর রহমান , ব্রাহ্মণবাড়িয়া: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী‘গোকর্ণ নওয়াব বাড়িটি’ধসে পড়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে বাড়িটির সামনের দক্ষিণ দিকের পুরো অংশ । দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে এই পুরার্কীতি বাড়িটি। কথা হয় বংশধর কয়েকজনের সাথে তারা বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকের বারান্দাসহ পুরো অংশটি। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী বাড়িটি পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
[৩] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যে কয়টি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে গোকর্ণ নবাব বাড়ি অন্যতম একটি স্থাপনা। কারুকার্য খচিত শতবর্ষী এই প্রাসাদটি নিমার্ণ করেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের উজ্জ্বল নক্ষত্র মরহুম নওয়াব সৈয়দ সামসুল হুদা।পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই ভ্রাতা ব্যারিষ্টার মাসিহ পারিবারিক ওই ভবনের তিন তলার ডিজাইনটি করে বাড়ির সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে তুলেন। অনেক দুর থেকেই এই বাড়ির উচুচুড়া এখনো মনকাড়ে আগতদের। ভিতর বাড়িতে বাংলো টাইপের দালান,রং মহল,চাতাল সব যখন নীরবে স্বজনহারা ব্যথায় কাদঁছে ঠিক তখনই ধসে পড়েছে বাড়িটি সামনের পুরো অংশ। পুরোনো ঐতিহ্যটি আজ ধ্বংশের দ্বারেপ্রান্তে। নবাব শামসুল হুদা নিঃসন্তান ছিলেন।
[৪] উনার মাধ্যমেই উনার বংশের প্রদীপ নিভে যায়! তবে সরাসরি উনার বংশধর না থাকলেও উনার দাদা ও দাদার ভাইদের মাধ্যমে সৈয়দ বংশের বা উনার বংশ সিলসিলা আজও গোকর্ণে জারি আছে। সাবেক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত নওয়াব বাড়িটি সংস্কার করা প্রয়োজন। ঐতিহ্য ধরে রাখতে দ্রুত নওয়াব বাড়িটি সংস্কারের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
[৫] উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী বলেন,ঘটনার জানার পর পর নওয়াব বাড়িটি পরিদর্শন করে এসেছি ।বাড়িটি ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ। এটির মালিক যারা লিখিতভাবে প্রত্নতও অধিদপ্তরের বরাবর বাড়িটি হস্তান্তর করলে, তখন প্রত্নতত্ত অধিদফতরকে সংস্কারের জন্য জানানো হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ