লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ [২] সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর গোকুন্ডা গ্রামে তিস্তা নদীর তীরবর্তী ফসলী জমিসহ ৫/৬ টি বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বর্ষার আগেই ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিজের বসত বাড়ি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে আবু সাইদ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছেন।
[৩] জানা গেছে, ওই এলাকায় তিস্তা নদীর পাড় থেকে বালু উত্তোলন করায় তিস্তা নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় চর গোকুন্ডা গ্রামের আবাদী জমিসহ ৫/৬ টি বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন যায়। অনেক জমির ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বিপদ সীমার ২৮ সেঃ মিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিজের বসত বাড়ি তিস্তা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে আবু সাইদ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেছেন। পাশাপাশি লালমনিরহাট জেলার বাকি ৪ উপজেলা গুলোতেও বর্ষার আগেই তিস্তা নদী ভাঙ্গান দেখা দিয়েছে।
[৪] লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা স্বপন বলেন, কিছুক্ষন আগে সদর ইউএনও নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
[৫] পানি উন্নয়ন বোড ডালিয়া দোয়ানীর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেয়েছে ।তবে ওই পানি দ্রুত নেমেও যাচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :