রাশিদ রিয়াজ : [২] প্রস্তাবিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে বিতর্কিত বলে হংকংয়ের রাস্তায় ফের বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের রোববার ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীরা বলছে নতুন প্রস্তাবিত এ আইন তাদের নাগরিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসনের বিরুদ্ধে হুমকি সৃষ্টি করেছে। সিএনএন
[৩] পুলিশ বলছে কোনো অনুমতি না নিয়ে বিক্ষোভকারীরা দুপুরের দিকে কজওয়ে বে যেটি ব্যস্ততম শপিং এলাকা সেখানকার রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে এবং করোনাভাইরাসের কারণে শারীরিক দূরত্ব তারা ভেঙ্গে ফেলে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক ঘন্টা পর তাদের হটিয়ে দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা এসময় পুলিশ লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারে।
[৪] প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা বা কোনো রাজনৈতিক বিরুদ্ধাচারণ করা যাবে না। হংকংয়ে ২৬ বছরের এক তরুণী ম্যাকি ওং বলেন, হংকংয়ের স্বাধীনতা আমাদের লক্ষ্য। অদূর ভবিষ্যতে তা পাব না জানি কিন্তু স্বাধীনতাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
[৫] বৃহস্পতিবার বেইজিং এ নতুন আইনের ঘোষণা দেয়ার পর হংকংএর বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, মানবাধিকার নেতারা প্রতিবাদ জানান। হংকং শেয়ার বাজারে হেংসেং সূচকের পতন ঘটে ৫.৬ শতাংশ।
[৬] চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রোববার বলেন বিলম্ব না করে বেইজিংয়ের উচিত হংকংএ নতুন নিরাপত্তা আইন কার্যকর করা। তবে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আইনজীবী ডেনিস কোক বলেন এক দেশে দুই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে হংকংকে নতুন এ আইন পুরোপুরি ধংস করে দেবে।