শিরোনাম
◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২০, ০৭:১১ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২০, ০৭:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বিএনপি নেতাদের ‘ঘরবন্দি’ ঈদ

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কারণে এবারের ঈদুল ফিতরে নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় না গিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছেন বিএনপির বেশিরভাগ সিনিয়র নেতা। স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবারের ঈদ উদযাপন করবেন তারা। ফলে ঈদের নামাজের পর নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কোলাকুলি বা হাত মেলানোর রাজনৈতিক নেতাদের সেই চিরচেনা চিত্র এবার দেখা যাবে না। তবে নেতারা নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় না যেতে পারলেও নিজ নিজ এলাকায় ত্রাণ-ইফতার সামগ্রী এবং ঈদের উপহার পৌঁছে দিয়েছেন।

[৩] বিএনপির দলটির নেতারা বলছেন, এবারের তারা স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি হয়ে নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। তাদের জীবনে এমন ঈদ এবারের প্রথম। অবশ্য এখন সারা পৃথিবীর মানুষ নিজ গৃহে আবদ্ধ থেকে ঈদ করছে। এ কারণে দলের নেতাকর্মী বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হবে না। অনুপস্থিত থাকছে চিরচেনা সেই ঈদ-রাজনীতির আমেজ।

[৪] বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে যাওয়ার আগে দলীয় নেতাকর্মী এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত দুই বছর কারাগারে কেটেছে ঈদের সময়। সেই কারণে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু চলতি বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি বর্তমানে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবার ঈদের দিনেও কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্য এবং দলের সিনিয়র কয়েক নেতাকে ঈদের দিন সাক্ষাৎ দিতে পারেন তিনি। এর বাইরে লন্ডনে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ঈদের দিন ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যরা দেখা করবেন। দলের নেতাদের দেখা করার বিষয়ে এখনও কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। আর দেশের করোনা পরিস্থিতি কারণে কোনও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানও হবে না।’

[৫] জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,‘ঈদে ঢাকায় থাকছি। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে ঈদ করছি। আমাদের জীবনের এই রকম ঈদ আগে কখনও করিনি। একটি ভাইরাস সারা পৃথিবী মানুষকে ঘরে আবদ্ধ করে রেখেছে।’

[৬] দলটির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মতো দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অনেক কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকাতে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেই ঈদ করবেন। তবে তারা ঈদে একালায় না গেলেও করোনার দুর্যোগকালে অসহায় মানুষদের জন্য ইফতার সামগ্রী ও ঈদের উপহার পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন শুধু দলটির স্থায়ী কমিটির নেতারা। প্রতি বছর নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হলেও এবার তা হবে না।

[৭] চেয়ারপারসন মিডিয়া উইংয়ের আরেক সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, ঈদুল ফিতরের দিন দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সকাল ১১টায় শুধুমাত্র দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাই রাজধানীর শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজার জিয়ারত করতে যাবেন।

[৮] জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিবার নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ করলেও এবার ঢাকাতেই আছেন তিনি। তার মতো স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদ করবেন ঢাকায়। শুধুমাত্র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে ঈদ করবেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শওকত মাহমুদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম ঢাকায় ঈদ করবেন।

[৯] দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবার ঢাকার মোহাম্মদ পুরের বাসায় ঈদ করবেন। যদিও গত বছর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ করেন তিনি। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদও ঢাকায় ঈদ করবেন।

[১০] বিএনপিনেতা খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এবারের ঈদে নির্বাচনি বা রাজনৈতিক কোনও আমেজ নেই। এবার প্রথম মানুষ ঈদের পরে শুভেচ্ছা বিনিময় বা কোনও অনুষ্ঠান করবে না। আশা করি এই দুর্যোগ কেটে যাবে।’

[১১] দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদে ঢাকায় থাকছি। তবে এর আগে আমার এলাকা ময়মনসিংহ গিয়ে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী দিয়ে এসেছি। ঈদ উপলক্ষে উপহারও পাঠানো হয়েছে।’

[১২] অন্যান্য দলের নেতাদের ঈদও ঢাকায়

[১৩] করোনাভাইরাসের কারণে বিএনপির নেতাদের মতো জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য বামপন্থীদলের নেতারাও এবার ঈদ ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করবেন।

[১৪] জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান এবং দলটির অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকায় ঈদ করবেন। জাপার চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সহকারী খন্দকার দেলওয়ার জালালী বলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ঈদে ঢাকায় আছেন। ঈদের নামাজও বাসাতেই আদায় করবেন তিনি।

[১৫] অন্য দলগুলোর মধ্যে গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয় জোনায়েদ সাকি ঈদে থাকছেন ঢাকাতেই। বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়