সাদিকুর রহমান সামু, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: [২] মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ব্যাটারি চালিত টমটম অটোরিকশাকে সাইট দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার মীর হোসেন নামের এক পল্লী চিকিৎসক সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন পুল্লী চিকিৎসের মা মিনু বেগম। হামলাকারীরা ক্ষুর দিয়ে তার একটি স্তন ক্ষতবিক্ষত করেছে।
[৩] সোমবার রাত ৯টার দিকে কমলগঞ্জের দক্ষিণ রাজটিলা গ্রামে নৃশংস এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চার যুবককে আটক করেছে।
[৪] জানা যায়,সোমবার বিকালে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেন। বিকাল ৫ টার দিকে কমলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত টমটম অটোরিকশাকে সাইট দেয়া নিয়ে টমটম চালক মনু মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় মীর হোসেনের। তাৎক্ষনিক এ বিষয়টি মিমাংশা করেন স্থানীয় পথচারীরা। এ ঘটনার জের ধরে রাত ৯টার দিকে পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেনের দক্ষিণ রাজটিলা গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে তার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। টমটম চালক মনু মিয়া তার ভাই সানু মিয়া,শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে তার আত্মীয়স্বজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র তার উপর হামলা করেন। হামলাকারীরা দা ও ক্ষুর দিয়ে মাথা,ঘাড় ও পিঠে একাধিক আঘাত করে। তার চিৎকারে তার মাসহ ভাই এবং স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়।
[৫] হামলায় পল্লী চিকিৎসক মীর হোসেন,তার মা মিনু বেগম ছাড়াও আহত হয়েছেন, আমজাদ মিয়া,আক্কাস মিয়া,আজাদ মিয়া,ইয়াছিন মিয়া। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
[৬] হামলার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দক্ষিণ রাজটিলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাইজিদ নামে এক হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন রাতে পুলিশ অভিজান চালিয়ে আরো তিন জনকে আটক করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :