শিরোনাম
◈ এসএমই মেলা-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ ১১ বছর পর পঞ্চমবার এভারেস্ট জয় করলেন বাংলাদেশের বাবর আলী ◈ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফের বাস্তুচ্যূত ৯ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ আরাকান আর্মির শহর দখল, বাড়িঘর জ্বালিয়ে ফের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২০, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ১৭ মে, ২০২০, ০২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লাইলাতুল কদর চেনার ১৩ উপায়

মুহাম্মাদ হেদায়াতল্লাহ : পবিত্র রমজানের সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত ২৭ রমজানের রাত। এটি ‘শবেকদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’ হিসেবে পরিচিত। এ রাতকে বিশ্বের মুসলমানরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন। লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এ রাতে মানবজাতির মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৩)

হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৬০; বুখারি, হাদিস : ২০১৪)

লাইলাতুল কদর বোঝার কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। সেগুলো-

এক. এ রাতটি রমজান মাসের। আর এ রাতের ফজিলত কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।

দুই. এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো।’ (সহিহ বোখারি)

তিন. আর এটি রমজানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ করো। (বুখারি)

চার. এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে।’

পাঁচ. রমজানের ২৭ রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ক. উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসুল (সা.) আমাদের যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হলো রমজানের ২৭তম রাত।’ (সহিহ মুসলিম)

খ. আবদুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ রজনীতে অনুসন্ধান করে। (মুসনাদে আহমাদ)

গ. কদরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হলো ২৫ তারিখ, তৃতীয় হলো ২৯ তারিখে। চতুর্থ হলো ২১ তারিখ। পঞ্চম হলো ২৩ তারিখের রজনী।

ছয়. সর্বশেষ আরেকটি মত হলো- মহিমান্বিত এ রজনীটি স্থানান্তরশীল। অর্থাৎ প্রতি বৎসর একই তারিখে বা একই রজনীতে তা হয় না এবং শুধু ২৭ তারিখেই এ রাতটি আসবে তা নির্ধারিত নয়। আল্লাহর হিকমত ও তার ইচ্ছায় কোনো বছর তা ২৫ তারিখে, কোনো বছর ২৩ তারিখে, কোনো বছর ২১ তারিখে, আবার কোনো বছর ২৯ তারিখেও হয়ে থাকে।

সাত. এ রাত গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না।

আট. নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।

নয়. মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

দশ. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।

এগারো. কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহতায়ালা স্বপ্নে হয়তো জানিয়েও দিতে পারেন।

বারো. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।

তেরো. সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। দেখতে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। (ইবনু খুজাইমা, হাদিস : ২১৯০; বুখারি, হাদিস : ২০২১; মুসলিম, হাদিস : ৭৬২)

সূত্র : দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়