শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২০, ০৩:২৬ রাত
আপডেট : ১৬ মে, ২০২০, ০৩:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সরকারের গুদামে চাল সরবরাহ নিয়ে শঙ্কায় চাতালকল মালিকরা

মাহমুদুল আলম : [২]ভরা মৌসুমেও যথেষ্ট পরিমাণ ধান কিনতে না পারায় সরকারি খাদ্য গুদামে চাহিদানুযায়ী চাল সরবরাহ করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাতালকল মালিকরা। এদিকে কৃষকরা বলছেন, ধানের মূল্যে তারা এবারও হতাশ। চলমান করোনা মহামারির মধ্যেই সরকারের গুদামঘরে চালের মজুদ নিয়ে এই অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।

[২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাড়ে তিনশ চাতালকলের মধ্যে শুধু আশুগঞ্জ উপজেলাতেই রয়েছে তিনশটি। পুরো
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১৪ হাজার  ৩৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার। তার মধ্যে আশুগঞ্জ থেকে মাত্র ৫৬৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ৩১শে আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করবে সরকার।

[৩] হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধানের সবচেয়ে বড় হাট বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদীর পাড়ে। তবে করোনার কারণে চাহিদা অনুযায়ী ধান নিয়ে আসতে পারছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

[৪] বোরো মৌসুমে প্রথম দুই থেকে তিন মাস দৈনিক এক লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জ মোকামে। আর বাকি সময়গুলোতে গড়ে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মণ ধান। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাটে ২০ থেকে ৩০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে। মূলত চাতালকল মালিকরা অর্থ সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী ধান কিনতে পারছেন না।

[৫] তবে আশুগঞ্জে ধান ও চাল কেনা শুরু হবে জানিয়ে গুণগতমান যাতে ভাল থাকে, তার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.মাইনুল হোসেন ভুইয়া।
[৬] কোন মধ্যসত্ত্বভোগী বিশেষ সুবিধা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আটটার সংবাদ, ডিবিসিনিউজ। মেইল সেন্ড ০৯.২৩ মিনিট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়