নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] করোনার পরিস্থিতির মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে ত্রাণ ও চাল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এই সরকারি ত্রাণ সহায়তা আত্মসাতের অভিযোগে আরও এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
[৩] এ ঘটনায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত ব্যক্তিরা হলেন-হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া, রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আকবর আলী এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. কামাল হোসেন।
[৪] প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও ভিজিডির চাল আত্মসাৎ, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এবং মৎস্য ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন। তাদের এই অপরাধ মূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
[৫] পাশাপাশি ওই প্রজ্ঞাপনে সাময়িকভাবে বরখাস্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
[৬] সরকারি ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাতের দায়ে আজ পর্যন্ত ৫৫ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার।