শেখ আদনান ফাহাদ
বিশ্বের কোনো গণমাধ্যমই প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নয়। হোক পুঁজিবাদী ব্যবস্থা, হোক সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাÑ সব ব্যবস্থাতেই পরাধীনতা বিদ্যমান। মালিক হোক ব্যক্তি বা রাষ্ট্র, মালিক পক্ষের চাপ, বিজ্ঞাপনদাতার স্বার্থ রক্ষায় স্বেচ্ছাবন্দিত্ব, রাজনৈতিক চাপ ইত্যাদি অব্যাহত থাকে। বিবিসি, এপি, রয়টার্স, সিএনএন কেউ নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের খরচ কোত্থেকে আসে? সিএনএনের খরচ কোত্থেকে আসে? বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর আসল সমস্যা স্বাধীনতায় নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা গণমাধ্যমগুলোর পেশাদারিত্বে। গণমাধ্যমগুলো নিজেরা পেশাদার হলে, অর্থাৎ মালিকপক্ষ যদি পেশাদার হতো তাহলে সাংবাদিকদের অবস্থা আরও ভালো হতো। যতোটুকু স্বাধীনতা আছে তাও কাজে লাগানো যায় না পেশাদারিত্বের অভাবে। অনেক সাংবাদিক নিজে থেকেই পেশাদারিত্ব আনেন না, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতা পেশার সম্ভ্রমহানি করেন।
আবার সৎ, সাহসী, যোগ্য সাংবাদিকরা মালিক, সম্পাদক, দুর্বৃত্ত, সহকর্মীদের যোগসাজশে টিকে থাকতে অনেক সংগ্রাম করেন। বিবিসি, এপি এগুলো পেশাদার গণমাধ্যম, বস্তুনিষ্ঠ নয়। বাংলাদেশেও যারা ভালো হাউজ তারা পেশাদার, বস্তুনিষ্ঠ নয়। আবার এখানে রাজনীতিবিদ, আমলাসহ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা চান না, এদেশে মেধাবী ও সৎ মানুষেরা সাংবাদিকতায় আসুক, থাকুক। যদি চাইতেন তাহলে করোনা মোকাবেলার যুদ্ধে কর্মরত সাংবাদিকদেরও প্রণোদনার মধ্যে আনা হতো। প্রণোদনা দিতে মালিকদের বাধ্য করতো অথবা রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে একটা উদ্যোগ নিতো। কাজল ভাইয়ের প্রত্যাবর্তন চেয়ে আমি কোনো পোস্ট দিইনি। যখন পাওয়া গেলো তখন আবার তার নামে মামলা দেওয়া হলো কেন? তিনি কী শখ করে বউ, বাচ্চা ফেলে এতোদিন নিরুদ্দেশ ছিলেন? খুব শখ করে তিনি বর্ডারে চলে গিয়েছিলেন? ফেসবুক থেকে