শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২০, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০২ মে, ২০২০, ১১:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তালতলীতে ক্ষেতেই নষ্ট হওয়া সেই চাষীর তরমুজ বিক্রির ব্যবস্থা করলেন ইউএনও

কাওসার হামিদ,তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : [২] করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় পাইকারা তরমুজ ক্রয় করতে আসেনি আর পরিবনের ব্যবস্থা না থাকায়। ক্ষেতেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই তরমুজ বিক্রী করতে পারেনি চাষী হারুন।

[৩] এজন্য তালতলী উপজেলা নিবাহী অফিসার তাকে তরমুজ বিক্রীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে লিখিত প্রত্যায়ন দেন।

[৪] জানা যায় উপজেলার কবিরাজ পাড়া এলাকার চাষী হারুন অর রশিদ বিভিন্ন এনজিও,ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ও স্থানীয় রাখাইনের জমি নগতটাকা দিয়ে ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। প্রতিদিনই তরমুজ ক্ষেতের পরির্চচা করেন তিনি। এর পরে ক্ষেতে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনও ধরেন। চাষী হারুনের মুখে আনন্দের হাসি থাকার কথা থাকলেও দেশে চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময় তরমুজ বিক্রি না করতে পেরে মুখে হাসির পরিবর্তে রয়েছে বিষন্নতার ছাপ।

[৫] একদিকে আসছে না তরমুজ পাইকারীরা অন্যদিকে লকডাউনের কারনে সাপ্তাহিক ও দৈনিক হাটগুলোতে নেই খুচরা ক্রেতারা। আর বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটের যোগাযোগের খুবই বেহাল। ঋণ বোঝা মাথায় নিয়ে পথে বসতে চলেছেন তরমুজ চাষী হারুন। এতে করে তার পরিবারেও চলছে হাহাকার। এজন্য চাষী হারুন প্রশাসনের সহযোগিতা চায়।

[৬] এ ঘটনা বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হওয়ার পরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান গতকাল ০১ মে চাষী হারুনকে তরমুজ বিক্রীর জন্য পরিবহনের ব্যবস্থাসহ সকল ধরনে সুযোগা সুধিদা করে দেন। এতে খুশি চাষী হারুনের পরিবার।

[৭] চাষী হারুন অর রশিদ বলেন বিভিন্ন যায়গা থেকে ঋণ নিয়ে ৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। এখন করোনা ভাইরাসের কারণে তরমুজ বিক্রি করতে না পেরে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় আছি। এখন নতুন করে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরমুজ। তাই পরিবার নিয়ে এখন পথে বসতে হচ্ছে।

[৮] এই খবর পেয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান আমাকে তরমুজ বিক্রীর জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়াতে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারবো। তিনি আরও বলেন প্রশাসনের এমন কাজে খুশি হয়েছি। ইউএনও স্যার আমাদের পরিবারের সকল ধরনের সুযোগ সুধিদা দেখবেন।

[৯] এবিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আসাদুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসনের অনুমতির পরিপেক্ষিতে পচনশীল কৃষি পন্য বাজারজাত করার জন্য চাষী হারুন অর রশিদকে তার ক্ষেতের তরমুজ বিক্রীর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চাষী হারুন কে এছাড়ও তাকে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়