মো. গোলাম সরয়ার : ভারতে ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের শরীরে হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর, গলাব্যথার মতো কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। এই দুইনম্বর ভাইরাস নিয়ে তাহলে আর ভয় কীসের। তার মানে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ আক্রান্ত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত নয়। আমাদের বিশ্বাস করতে সুবিধা আছে, ভারতবর্ষে করোনার যে কিসিমের ভাইরাস আসছে তা খুব বেশি প্রাণঘাতী নয় কিংবা এ অঞ্চলের মানুষ এ ভাইরাসের প্রতিকূলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করার পথে। ভারতের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এতে করে রোগী চিহ্নিত না হলে গণহারে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে বেশিরভাগ ভারতীয়। আমরা অবশ্য এতে আশঙ্কিত না হয়ে আশা দেখি। ভারত ১৩০ কোটি মানুষ নিয়ে চীনের সীমান্তের একটি দেশ। চীন থেকে বারো হাজার কিলোমিটার দূরের আমেরিকায় গিয়ে ভাইরাস কেয়ামত সংগঠিত করছে আর ভারতে গণহারে আক্রান্ত হতে এতো সময় লাগার কথা? ভাইরাস কি শুধু এলিট আর ন্যাটোর সদস্য দেশের মানুষ চিনে? পৃথিবীর নেতৃত্ব নিয়ে কাজ করে ইউরোপের তেমন দশ-বারোটি দেশ আর আমেরিকা ছাড়া এই ভাইরাস কোনো দেশে তেমন গণহারে মানুষ হত্যায় আছে এখনো? হ্যাঁ দুই বিবদমান পক্ষ সংঘাতে জড়ালে নিরীহ কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমাদের সচেতন থাকতে হবে সেই ক্রসফায়ারে যেন আমরা না পড়ে যাই। আমেরিকায় যতো মানুষ আছে ভারতে দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে তার চেয়ে বেশি মানুষ।
ইতালিতে যতো মানুষ আছে ভারতে বস্তিতে থাকে তার চেয়ে বেশি মানুষ। অসচেতন আর অসহায় ওই মানুষগুলো এতোদিন বেঁচে আছে কীভাবে তাহলে? আমাদের বিশ্বাস করলে আশাবাদ আসে, ভারতবর্ষে মানুষের ইমিউন কাজ করছে। আমরা আরও কিছুদিন ঘরে থাকি আর আশাবাদী থাকি। পৃথিবীর সব অঞ্চলের ইতিহাস কখনোই একরকম হয় না। এই ব্যতিক্রমের সুবিধা নিয়ে আমরা এবারও বেঁচে যাবো। ভয় নয়, সচেতন থাকুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। ফেসবুক থেকে