শিরোনাম
◈ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশে কখন, কোথায় দেখা যাবে ◈ পরিবর্তন আনা হয়েছে যে ৪৬ আসনের সীমানায় ◈ টেলিকম খাতে চার ধরনের লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা অনুমোদন, সুলভে মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের প্রত্যাশা ◈ ড. ইউনূস ও গোয়েন লুইস বৈঠক: ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পূর্ণ সমর্থন জাতিসংঘের ◈ বিলাসবহুল রিসোর্টেও সুনসান নীরবতা, বিদেশি পর্যটকের অপেক্ষায় উত্তর কোরিয়া ◈ যশোরে অভিযানে যাওয়া সিআইডির ৪ সদস্যের ওপর হামলা ◈ ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, মাথায় চাপ দিবেন না’, মামুনের মাথার খুলি ফ্রিজে ◈ নেপালে বন্ধ হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্সসহ ২৬টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সরকারের কড়াকড়ি ◈ ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ ◈ শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে: রিজভী

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৫ রাত
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] প্রথম সন্তান মেয়ে হলে বয়ে আনে সৌভাগ্য

ডেস্ক রিপোর্ট : [১]  ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে কন্যা সন্তানের মাধ্যমে আল্লাহ পরিবারে সুখ ও বরকত দান করেন। হাদিসে এমন কথা উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো অনেক পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে ইতিবাচক চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার মেয়ে সন্তানের মায়ের ওপর নাখোশও হন। বিভিন্ন কায়দায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

[২] আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখো, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।’ (সুরা আন-নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)

[৩] রাস‍ুল (সা.) মেয়েদের অনেক বেশি ভালোবাসতেন। মেয়েরা ছিল তার আদরের দুলালী। আজীবন তিনি কন্যাদের ভালোবেসেছেন এবং কন্যা সন্তান প্রতিপালনে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। কন্যা সন্তান লালন-পালনে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন।

[৪] আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দু’টি কন্যাকে তারা সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসবো (অতঃপর তিনি তার আঙ্গুলগুলি মিলিত করে দেখালেন)’। (মুসলিম, হাদিস নং: ২৬৩১, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯১৪, মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং: ১২০৮৯, ইবনু আবি শাইবা, হাদিস নং: ২৫৯৪৮)

[৫] হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করনে, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ের ওউপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং: ১/২২৩)

[৬] হযরত আবদুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ওই নারী বরকতময়ী ও সৌভাগ্যবান, যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা, (সন্তানদানের নেয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে) আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।’ (কানযুল উম্মাল ১৬:৬১১)

[৭] আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার কাছে এক নারী এলো। তার সঙ্গে তার দুই মেয়ে। আমার কাছে সে কিছু প্রার্থনা করলো। সে আমার কাছে একটি খেজুর ছাড়া কিছুই দেখতে পেলো না। আমি তাকে সেটি দিয়ে দিলাম। সে তা গ্রহণ করললো এবং তা দুই টুকরো করে তার দুই মেয়ের মাঝে ভাগ করে দিলো। তা থেকে সে নিজে কিছুই খেলোল না। তারপর নারীটি ও তার মেয়ে দু’টি উঠে পড়লো এবং চলে গেলো। ইত্যবসরে আমার কাছে নবী (সা.) এলেন। আমি তার কাছে ওই নারীর কথা বললাম। নবী (সা.) বললেন, ‘যাকে কন্যা দিয়ে কোনো কিছুর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় আর সে তাদের প্রতি যথাযথ আচরণ করে, তবে তা তার জন্য আগুন থেকে রক্ষাকারী হবে।’ (মুসলিম, হাদিস নং : ৬৮৬২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ২৪৬১৬)

[৮] এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্পন্ন একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, একজন বড় ছেলে একজন প্রথমজাত মেয়ের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম উচ্চাভিলাষী হয়। পরিবারের প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয় তবে সে অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়। কারণ তার অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকে।

[৯] আপনি যদি ভালভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন পরিবারের বড় মেয়েরা অনেক সাফল্যের অধিকারী হয় কিন্তু ছেলেরা এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়