সওগাত আলী সাগর : নারায়ণগঞ্জের এই চিত্রটা কি আমরা আগে জানতাম। প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বলে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাহস করে নারায়ণগঞ্জের দৈন্যদশাটা প্রধানমন্ত্রীর সামনে ফাঁস করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা ভালো লেগেছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ভুল তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জানলেন, রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী একটি শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী হাল। আগেও বলেছি, আবারও বলি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি স্বাস্থ্য সমস্যাÑ হেলথ ইমার্জেন্সি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় নয়। ডিসি এসপিরা, জনপ্রতিনিধিরা স্তুতিবাক্য শেষে কথাবার্তাকে ত্রাণের মধ্যে নিয়েই শেষ করে দেয়। ফলে আপনার সময় যায়, কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি জানা হয় না। তার চেয়ে বরং সরাসরি জেলায় জেলায় ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের কাছ থেকে পরিস্থিতি জানতে চান।
ডাক্তারদের কথা শুনে যেখানে প্রয়োজন সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে এলে পরিস্থিতি বদলে যেতে বাধ্য। এই যে নারায়ণগঞ্জের অবস্থাটা শুনে প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিস্মিত হলেনÑ এই তথ্যটা কি এর আগে কেউ কখনো সরকারকে জানিয়েছে? প্রধানমন্ত্রী নিজে অন্তত অবগত ছিলেন না। অথচ নারায়ণগঞ্জের ডাকসাইটে রাজনীতিকরা পত্রিকার পাতা দখল করে রাখেন, সেখানে কতো ধরনের ‘ফাদাররা’ আছেন। তারা কেবল দলবাজি করেছেন, সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছেনÑ জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর দেননি। রাজধানীর আশপাশের একটি শহর যদি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উপেক্ষিত হয় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিত্রটা কী হতে পারে। নারায়ণগঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি খুলে দেওয়ার কথা, আশা করি প্রধানমন্ত্রী এখন খোলা চোখে স্বাস্থ্য সমস্যাটা দেখবেন। ফেসবুক থেকে