ডেস্ক রিপোর্ট : [২] মঙ্গলবার দুপুরে চালগুলো চাঁদপুর সিএসডি গোডাউন থেকে পালপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে এনে রাখেন আবিদা সুলতানা। বিষয়টি জানতে পারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে পিকআপ ভ্যান দিয়ে চালগুলো উদ্ধার করে সদর উপজেলার গোডাউনে নিয়ে রাখা হয়। যুগান্তর, মানবজমিন, কালের কণ্ঠ, বিডিনিউজ
[৩] চাঁদপুর সদর উপজেলার একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি ত্রাণ কিংবা কোনো বরাদ্দের চালই নিজ বাড়িতে নিয়ে রাখার নিয়ম নেই। আমাদের যত বরাদ্দ আসে আমরা এগুলো গোডাউন থেকে সরাসরি পরিষদের গোডাউনে নিয়ে রাখি। অনেক সময় সরাসরি বিতরণকৃত এলাকায় নিয়ে তালিকাভুক্ত লোকদের হাতে তুলে দেই।
[৪] ভাইস-চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় যেহেতু চেয়ারম্যানরা বিতরণ করেন, আমি চিন্তা করেছি ইউনিয়নে না দিয়ে আমার বাড়ির আশপাশে শহরের লোকদের মাঝে দেব। সে কারণে বাড়িতে এনে রেখেছি।
[৫] চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, আসলে তেমন কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ওই নারী ভাইস-চেয়ারম্যান মনে করেছেন করোনার এ অবস্থায় জনসমাগম এড়াতে সরল বিশ্বাসে তার নিজ বাড়ি থেকে এই চাল দরিদ্রদের মাঝে বণ্টনের জন্য নিয়ে রেখেছেন। পরে আমরা ওই চাল উপজেলা গোডাউনে এনে রেখেছি।
[৬] চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যদি গরীবদের দিতেই হয় তাহলে উপজেলা থেকেই দিতে হবে।
এসবি
আপনার মতামত লিখুন :