মির্জা ইয়াহিয়া : করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের নির্দেশেনা মেনে ঘরেই অবস্থান করছি। বিশেষ প্রয়োজনে হয়তো দুয়েকদিন বের হয়েছি। এর মধ্যে একদিন গিয়েছি জিগাতলায় সিটি ব্যাংকের এটিএম বুথে। টাকা তুলতে গেলে সেখানকার সিকিউরিটি নিজে থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এগিয়ে দিলো। সব ব্যাংকের সব বুথে এভাবেই দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন সিকিউরিটিরা। বর্তমান অবস্থায় প্রায় সবাই ঘরে। কিন্তু বাইরে আমাদের সুরক্ষায় কিংবা প্রয়োজন মেটাতে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক ডাক্তার। মাঠে নেমেছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। আর সবসময়ই কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বন্ধুরাও প্রতিনিয়ত আমাদের আপডেট নিউজ জানাচ্ছেন। আর যাদের কাজ করতে হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম বেসরকারি সিকউরিটি কোম্পানির কর্মীরা। এটিএম বুথের কথা শুরুতেই বলেছি। সুপারশপেও নিরাপত্তাকর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এগিয়ে দিচ্ছে আমাদের। মিডিয়াসহ যেসব অফিস খোলা সেসব অফিসের কর্মীদের তাপমাত্রা মাপার কাজটি করতে হচ্ছে এখন নিরাপত্তাকর্মীদের।
অন্যদিকে ঢাকা শহরের কোনো ভবন বা কোনো এলাকা লকডাউনের আওতায় গেলে সেখানে সবাই ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু বাইরের নিরাপত্তায় সিকিউরিটিদের ঠিকই তৎপর থাকতে হচ্ছে আগের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে। সিকিউরিটি কর্মীরা যে আমাদের জন্য কতোটা দরকার, তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ তাদের যথাযথ সম্মান দিন। নিরাপত্তায় সিকিউরিটেদের সহযোগিতা করুন। তাদের সঙ্গে নির্দয় আচরণ করবেন না। সিকিউরিটি গার্ডদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজার ও গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হোক। তাদের পরিবারের সহায়তায় সবাই এগিয়ে আসুন। এই খারাপ সময়ে সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য সিকিউরিটি সদস্যদের প্রতি আমার সালাম। তাদের জন্য শুভ কামনা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ফেসবুক থেকে