মনজুর এ অনিক, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] সদর উপজেলা ও মহানগরকে করোনা ঝুঁকিতে লকডাউন করা হয়েছে। এ জেলায় দিনে দিনে করোনা পরিস্থিতি এগোচ্ছে ভয়াবহতার দিকে। ইতিমধ্যেই রোগে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে এ জেলায়। আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন।
[৩] লকডাউন করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা লকডাউন হচ্ছে। নগরবাসী প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাধ দিয়ে ঘর থেকে বাহির হচ্ছেনা।সোমবার সকাল ৬ টা থেকে পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা কঠোর থাকবে প্রশাসন।
[৪] পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন,এখন থেকে আমরা জিরো টলারেন্স। নারায়ণগঞ্জে ইনপুট আউটপুট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের ও ঢুকতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সে কারণে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ইতোমধ্যে মাইকিং চলছে। অলিগলি বাশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
[৫] স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পিপিই প্রস্তুত করা ও বিদেশী অর্ডার ছাড়া বাকি সব গার্মেন্ট বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা কঠোর থাকবে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে করোনায় সংক্রামন ব্যাধি দ্রæত ছড়িয়ে পড়ার আগেই পুরো জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান রেখে পৃথক বিবৃতি দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
[৫] এদিকে সিটি মেয়র আইভী ও সংসদ শামীম ওসমানের আহবানে রোববার রাতে জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে জরুরী সভায় লকডাউনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ