রাশিদ রিয়াজ : [২] করোনাভাইরাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া, টেক্সাস, কেনটাকি, আরিজোনা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮ অ্যামাজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে বিজনেস ইনসাইডার। তাদের অভিযোগ পর্যাপ্ত সুরক্ষা না দিয়েই কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের ঘরে ঘরে পণ্য সরবরাহ করতে পাঠাচ্ছে।
[৩] অ্যামাজন কর্মীদের গুরুতর অভিযোগ তাদের কর্মস্থল বা কর্মপ্রক্রিয়া এমন ধরণের যে তা করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্যে ‘উর্বর ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কোনোভাবে সম্ভব নয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পরিস্কার রাখার উপকরণেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
[৪] এ অবস্থায় অ্যামাজন কর্মীরা তাদের জীবিকা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির যে কোনো একটিকেই বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। একজন অ্যামাজন চালক বলেন, আশঙ্কা হয় গত তিনদিনে হাজার খানেক মানুষ আমার মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আমাদের ঘরে ঘরে পণ্য সরবরাহ জরুরি কারবারে পরিণত হয়েছে।
[৫] আরেক অ্যামাজন কর্মী জানান, আমাদের ওয়ারহাউজগুলো যে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে তা স্পষ্ট। প্রবল ব্যস্ততার মাঝে কর্মীদের সর্দি, কাশি, হাঁচি দেয়ার সময় কারো মধ্যে কোনো নিয়ম মেনে চলার বালাই নেই। কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই করছে না।
[৬] অ্যামাজনের মুখপাত্র ক্রিস্টেন কিশ আমাদের কর্মীদের মধ্যে যারা মানুষের সান্নিধ্যে যাচ্ছে বা যারা অসুস্থ তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে। অধিকাংশ গ্লোবাল কোম্পানির মত আমাদের কর্মীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ‘হু’র নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছি।