রিয়াদ ইসলাম, পাবনা প্রতিনিধি: [২] প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বারবার গণজমায়েত থেকে দূরে থাকার কথা বলা হলেও সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে পাকশী পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড কর্মরত প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের জোর করে কাজ করাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
[৩] যদিও সরকারের রেল মন্ত্রনালয় করোনা ঝুঁকি এড়াতে সারা দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন। অন্য দিকে চাকরি বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন তাঁরা। এতে সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং প্রয়োজনীয় পোশাক না থাকায় করোানা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা করছেন তারা।
[৪] শ্রমিক-কর্মচারী সূত্রে জানায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মালবাহী ট্রেন, তেলবাহী বিটিও, বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী কন্টেইনার ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু পাকশী পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পাথরবাহী মালগাড়ী চালানো হচ্ছে। এই মালবাহী ট্রেনগুলোর এলএম, এএলএম, লোকসেড ও ক্যারেজের ফিটিং ষ্টাফসহ অন্যান্যদের অনিচ্ছা স্বত্তেও কর্মকর্তরা জোর করে পাথর বহন ও অপ্রয়োজনীয় ট্রেন বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৫] দায়িত্বশীল এলএম, এএলএম, ও ক্যারেজ ফিটিং ষ্টাফরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পাকশী পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ে কার্যালয় চলছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। রেলওয়ের ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেডে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ছুটি না হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে কাজে যেতে নারাজ তাঁরা।
[৬] এ ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই-লোকো) আশীস কুমার মণ্ডল বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) চিঠি দিয়ে রেল ইঞ্জিনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের করতে বলেছেন।
[৭] পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক জানান, রেল ইঞ্জিনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কথা মাথায় রেখে তাঁদের দিয়ে মেরামতের কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের নিরাপত্তার জন্য হ্যাণ্ড গ্লাভস, মাস্ক ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৮] রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আরএসের চিঠির পরিপেক্ষিতে রাজশাহী থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসে নিয়মিত ইঞ্জিনের কাজকর্ম করে গেছেন।
[৯] পাবনা জেলা সিপিবি কমিটির সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য কমরেড আহসান হাবিব বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারা দেশে কিছুদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। অথচ রেল শ্রমিকদের এ ছুটির বাইরে রাখা হয়েছে। এটা রেল শ্রমিকদের প্রতি সরকার ও সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলা। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী