শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিউবা বা চীন কেন পারে, রাশিয়া পারে, অন্যরা কেন পারে না করোনা মোকাবেলা করতে?

জাকির তালুকদার : কিউবা বা চীন কেন পারে, রাশিয়া পারে, অন্যরা কেন পারে না করোনা মোকাবেলা করতে? এই প্রশ্নটি কি উদিত হয় আমাদের মনে? যখন ইউরোপ-আমেরিকা অসহায়, তখন কিউবার মতো গরিব দেশ কেমন করে পারে উন্নতির চরম শিখরে থাকা দেশগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে?কারণ কিউবা বা চীন স্বাধীনতা লাভের পর প্রধানত নজর দিয়েছে জনগণের মৌলিক চাহিদার দিকে। অথবা বলা যেতে পারে বিপ্লবের পরে তারা চকমকে উন্নয়নকে সত্যিকারের উন্নয়ন মনে করেনি। তারা নজর দিয়েছে জনগণের পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের দিকে। সর্বাধিক ব্যয় করেছে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে। দুর্নীতিবাজ কোনো নেতা বা আমলাকে তারা ছাড় দেয়নি। কোন ধরনের শিক্ষা তাদের দেশের এবং জনগণের জন্য সবচাইতে উপযোগী হবে গবেষণা করে সেগুলো বের করেছে। সেভাবে শিক্ষাগ্রহণে পাঠিয়েছে দেশের শিশু-কিশোর-যুবকদের। বিপ্লবের পর ফিদেল কাস্ত্রো উচ্চশিক্ষিত ডিগ্রিধারী ডাক্তার তৈরির জন্য সময় নষ্ট করেননি। প্রথমেই তিনি শর্টকোর্সে এবং মধ্যম কোর্সের মাধ্যমে তৈরি করেছেন হাজার হাজার প্যারামেডিক। তারা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। জনগণকে প্রাথমিক এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে সর্ব পর্যায়ের মানুষকে। তারপর কিউবা (এবং চীনও) হাত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানী তৈরির কাজে। নব্বই দশক পর্যন্ত কিউবাতে কোনো রঙিন টেলিভিশন ছিলো না। সাদা-কালো টিভিই চলতো। কিন্তু তাদের চিকিৎসাবিজ্ঞান পৌঁছে গিয়েছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ মানে। অর্থাৎ তারা উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার নির্ণয়ে ভুল করেনি। জনগণকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে ঝলমলে উন্নয়নের ফুটানি দেখাতে যায়নি। কারণ তাদের সরকার জনগণের পক্ষের সরকার। যা আমরা কখনোই পাইনি।
সংযোজন : জনগণ কখন নেতাদের কথায় মনপ্রাণ ঢেলে সাড়া দেয়? যখন দেখতে পায় যে নেতারাও তাদেরই মতো জীবনযাপন করে। তাদের নেতারা বিলাসে গা ভাসায় না। তাদের সঙ্গে নেতাদের জীবনমানের খুব তফাৎ নেই। নেতারাও তাদের সঙ্গেই দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেয়। এই জায়গাতে আমাদের দেশের নেতাদের সঙ্গে তাদের ফারাক যোজন যোজন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়