অনলাইন রিপোর্ট: [২] ঠাকুরগাঁও শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন ইউনিটে শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে এক মৃক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, ওই মৃত ব্যক্তিকে ‘ভুল করে’ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের রোগীদের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছিল। ইত্তেফাক
[৩] ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আগের মধ্যরাতে ভর্তি হওয়ার পর ৬৫ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা মারা যান। যার বাড়ি সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে।
[৪] এ হাসপাতালের সামনে ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ২০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। এ ইউনিটে এখন পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
[৫] সোমবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়। আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির আধা ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তার।
[৬] তবে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ‘৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা যান। তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ইউনিটে তাকে নেওয়া হয়নি, হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
[৭] অন্যদিকে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ জানান, ওই মৃত ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে এককভাবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে আইসোলেটেড করে রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত তাকে করোনা ভাইরাসের আইসোলেশনে ইউনিটে নেওয়া হয়। আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান তিনি।’
ওই আইসোলেশন ইউনিটে সে সময় অবস্থানরত একজন মোবাইল ফোনে জানান, ওই বৃদ্ধ খুব শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। উনাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল।