ইফতেখার আলম, রাজশাহী প্রতিনিধি : [২] ঢাকার দোহার থানা এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের নারী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার তুষ্টির বাসায় শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহকর্মীর নাম নাহিদা আক্তার (১২)। নিহত নাহিদা নাটোর জেলার লালপুর থানাধীন পুকুরপাড়া কামারহাটি এলাকার নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির পেশায় একজন ভ্যান চালক।
[৩] বছরখানেক আগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (রুয়েট) পিয়ন রোমেলা বেগম ওই নারী কর্মকর্তার বাবা শামসুল ইসলামের রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন কাজলা এলাকার বাসায় শিশু নাহিদাকে নিয়ে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজে লাগিয়ে দেন। একমাস পরে শামসুল ইসলাম কাউকে না জানিয়ে তার নিজের মেয়ে ঢাকার দোহারে কর্মরত পল্লী বিদ্যুত কর্মকর্তা শামিমা আক্তার তুষ্টির বাসায় শিশু নাহিদাকে গৃহকর্মীর কাজের জন্য রেখে আসেন।
[৪] নিহতের বাবা নাসির উদ্দিন গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে আতœহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথবা তার মেয়েকে আতœহত্যা করতে প্ররোচনা দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তিনি আরো বলেন, আমার প্রতিবেশি বাবুল বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বিশেষ করে সাংবাদিকরা যাতে জানতে না পারেন সেজন্য আমাকে সতর্ক করে দেন। তখন বিষয়টি আরো সন্দেহজনক মনে হয়।
[৫] দোহার থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা বা আতœহত্যার প্ররোচনা দেয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে কোনো গাফেলতি থাকবে না। যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ