শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২০, ০৮:৩৪ সকাল
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২০, ০৮:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লকডাউন করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে এবং নিশ্ছিদ্র

 

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী: নিউইয়র্ক টাইমসে একটা খুব জরুরি লেখা বেরিয়েছে যেটাতে বলা হয়েছে পৃথিবী ইতালির ডিজাস্টার থেকে কী শিখতে পারে এবং চীন, ভিয়েতনাম, হংকং, কোরিয়া তাদের সাফল্য থেকেও একই জিনিস শেখা যায়। ১. লকডাউন করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে এবং নিশ্ছিদ্র। গাড়ি-ঘোড়া, অফিস-আদালত সব বন্ধ করে দিতে হবে একসঙ্গে। ধাপে ধাপে বন্ধ করাটা ভাইরাস ঠেকানোর ক্ষেত্রে অকার্যকর। কেবলমাত্র সেগুলাই খোলা থাকবে যেগুলা জীবন ররক্ষাকারী। খাবার দাবার, ওষুধ এ রকম। ২. রাজনৈতিক নেতারা বিপদটাকে হালকা করে দেখাতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে ইতালির রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বারের ভেতর মদের গ্লাস হাতে একজনের একটা ছবি পোস্ট করে ‘মিলান তার স্বাভাবিক রুটিন বদলাবে না’ লেখাসহ বেশ কিছু নমুনা পেশ করেছে। যেগুলো থেকে মানুষ বিপদকে হালকাভাবে নেওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে।

৩. সঠিক ব্যাপক এবং স্বচ্ছভাবে টেস্ট করতে হবে। ইতালির লোম্বর্ডি রিজনে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তখন সরকারি মন্ত্রীরা ধিক্কার দিয়ে বলছে, এতো মানুষের টেস্ট কেন করানো হচ্ছে, এতে ইতালির ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি হবে। এই আত্মবিধ্বংসী ভুল না করে টেস্ট করাকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। সঠিক তথ্যই বিপদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে, তথ্য গোপন নয়।৪. একপর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে ট্রেন বা বিমানযোগে মিলান থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যেটাকে তারা ইতালিজুড়ে ‘কনটাজিয়নের ঢেউ’ বলছে। এটা না করে যে যেখানে আছে সেখানেই রাখতে হবে। (বলা বাহুল্য, কী এক অদ্ভুত কারণে এই ঢেউয়ের একটা বড় অংশ আমরা গ্রহণ করেছি। করলাম করলাম তখনই যদি তাদের সশস্ত্র বাহিনীর জিম্মায় কোয়ারান্টাইনে দিতাম, তবুও বাঁচা যেতো)। যাই হোক, মিলিয়ে দেখুন আমরাও এ রকম ভুল করছি কিনা।

করলে আর এক মুহূর্তও দেরি না করে সংশোধন করি চলেন। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে দল বানান। চীনা বা কিউবান ডাক্তারদের সাহায্য নেন, সরঞ্জাম আনান। আর সিটি কর্পোরেশনগুলো সকাল-বিকাল ডিজইনফ্যাকট্যান্ট ছিটান, প্রতিটা রাস্তায়, মাঠে, প্রতি কণা জায়গায়। ভাইয়েরা ব্যবস্থা নেন। কারণ এটা এই দল ওই দলের ব্যাপার নয়, সবার বেঁচে থাকার মতো জরুরি ব্যাপার। এই লড়াইয়ে সবাই যাত্রী এক তরীর। তাই আসেন সবাই সবার পাশে দাঁড়াই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সুশীল, অশীল, সশস্ত্রবাহিনী, নিরস্ত্রবাহিনী, বড়লোক, ছোটলোক সবাই মিলেই বাঁচতে হবে। কারণ ভাইরাস কোনো বৈষম্য করে না। (এই বিপদ কেটে গেলে তখন আবার আমরা বিরোধ করার, এ ওকে দোষ দেওয়ার, টেনে ক্ষমতা থেকে নামানোর বা ক্ষমতায় উঠার সুযোগ পাবো)। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়