আবদুর নূর তুষার: ভুল বোঝার কোনো কারণ নেই। করোনাভাইরাস নিয়ে বিরাট আতঙ্কে ছটফট করলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এটাকে মোকাবেলা করতে হবে। ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছি কারণ। ১. ডাক্তাররা শুধু করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করেন না। ২. তারা সব রোগের চিকিৎসা করেন। ৩. ডাক্তাররা আক্রান্ত হলে একেকজন ১৪ দিনের জন্য শুয়ে পড়বেন বা তারো বেশি। ৪. এভাবে সব ডাক্তার বা অধিকাংশ ডাক্তার রোগে আক্রান্ত হলে চিরকাল ধরে যেসব রোগে মানুষ হাসপাতালে যায় , সেসব রোগের চিকিৎসা কে করবে? ৫. হৃদরোগ, কিডনীর রোগ, সিজারিয়ান সেকশন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ক্যান্সার এসবের চিকিৎসা কে করবে? ৬. ডেঙ্গুর চিকিৎসা কে করবে? সেজন্য ডাক্তারের নিরাপত্তা জরুরি। এটার জন্য বলেছি কারণ সব রোগীকেই বাঁচতে হবে। শুধু করোনা রোগীকে নয়।
শুধু তাই না, পিপিই না থাকলে এক করোনা রোগীর জীবানু ডাক্তার সাহেবের মাধ্যমে গোটা হাসপাতালজুড়ে অন্য রোগীর শরীরে যাবে। তাই ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা জরুরি। পাশাপাশি রোগ বিস্তারও ঠেকাতে হবে। এই যে শুক্রবার সকলে মিলে জুমার নামাজ একসাথে পড়লাম, সেখানে করোনা রোগী থাকলে, ১৪ দিন এর মধ্যে এই কোটি কোটি মুসল্লিদের অনেকেই জ্বর কাশিতে ভুগবেন। তখন যদি সব ডাক্তারও রোগে ভোগেন, তাহলে চিকিৎসা কে করবে? এজন্যই ডাক্তারদের নিরাপত্তা দরকার, তাহলে রোগীদের উপকার। এখানে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ নাই।ফেসবুক থেকে