রাশেদ রাজন : [২] পদ হারানো প্রফেসর বলেন, রোববার আমাকে উপাচার্য ডেকে নিয়ে বলেন, এই রিট তুমি করেছো। এটা প্রশাসনবিরোধী কাজ। তাই তুমি প্রশাসনে থাকতে পারো না। তোমার এখানে থাকার অধিকার নেই। শেষে আবার বলেছে যে, তুমি ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছো না।
[৩] গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ও হাইকোর্টে রিট হওয়ায় রোববার তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাবি উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে।
[৪] গত বছরের ২০ অক্টোবর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারও করে। আসামি একই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। দুই মাস কারাগারে থাকার পর গত ১২ ডিসেম্বর তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যাওয়া-আসা করতেন তিনি, তাকে বরখাস্তও করেনি কর্তৃপক্ষ। তার উপস্থিতির কারণে ছাত্রীটির বিদ্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
[৫] ২০ ফেব্রæয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত ৫ মার্চ ওই শিক্ষককে বরখাস্তের কথা জানায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
[৬] এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ জারি করে ছাত্রীর মাকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান, খালিদ আহমেদ