সোহেল রহমান : [২] অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসএমই-সহ বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ, খেলাপি ঋণ আদায় ও বিভিন্ন মামলা নিষ্পত্তিতে সফলতা অর্জন করলেও কৃষিভিত্তিক শিল্প ঋণ বিতরণ, অ-শ্রেণীকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নতুন গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো এবং নতুন নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ানো ও তাদের এসএমই ঋণ বিতরণে চলতি অর্থবছরেরর প্রথম অর্ধ-বার্ষিকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক’ (বিকেবি)।
[৩] অন্যদিকে এসএমই-সহ বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণে সফলতা অর্জন করলেও ভূমিহীন বর্গাচাষী-নারী উদ্যোক্তা ও গ্রীণ ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ, খেলাপি ঋণ আদায়, মামলা নিষ্পত্তি, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি ও কস্ট অব ফান্ড কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক’ (রাকাব)।
[৪] পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কৃষিভিত্তিক শিল্পঋণ বিতরণে বার্ষিক ৩০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) বিকেবি বিতরণ করেছে ১১৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। এটি বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ শতাংশ। এছাড়া অ-শ্রেণীকৃত ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা (৪৬ শতাংশ) আদায়, অবলোপনকৃত ৭ কোটি টাকার বিপরীতে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা (৩১ শতাংশ) আদায় এবং ১০০০ নতুন নারী উদ্যোক্তার বিপরীতে ১৭২ জন নারী উদ্যোক্তাকে মাত্র ৬ কোটি টাকা এসএমই ঋণ বিতরণ করেছে বিকেবি। এসব সূচকে ব্যাংকটির ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে মনে করছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
[৫] অন্যদিকে বার্ষিক ৩৯০ কোটি টাকা শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় মাসে ‘রাকাব’ আদায় করেছে ১৫১ কোটি টাকা। এটি বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৯ শতাংশ। এছাড়া ভূমিহীন বর্গাচাষীদের ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রার ৪৮ শতাংশ, নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ, গ্রীণ ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ অর্জন করেছে ‘রাকাব’। এসব সূচকে ব্যাংকটির অর্জন ‘সন্তোষজনক নয়’ বলে মনে করছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :