শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২০, ০৮:৫৭ সকাল
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২০, ০৮:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজের মনকে বিশুদ্ধ রাখবেন যেভাবে

আহসান হাবিব : মানুষের অন্তর তখুনি কলুষিত হয় যখন মানুষ পরকালের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়। আর সময়ের অপচয় হয় যখন মানুষ একটার পর একটা আশা করতেই থাকে। মানুষের নিরন্তর চাওয়া আর কামনার ভেতরেই যাবতীয় অনিষ্টের জন্ম হয়। অন্যদিকে, সত্য ও সঠিক পথ অনুসরণ করলেই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ সাধিত হয়। মানুষ তখন আল্লাহ’র সাথে সাক্ষাত করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে। যে মানুষটি আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে সে কখনো সময় অপচয় করতে পারে না। তাই অন্তরকে শুদ্ধ ও পরিস্কার রাখার জন্য সবসময় আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর ভয়ে তটস্থ থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। আর কোনোভাবেই সময় নষ্ট করা যাবে না। তাহলে অন্তরে সজীবতা বজায় থাকবে। আজে বাজে প্রবৃত্তি ও কামনা-বাসনা থেকে অন্তর মুক্ত থাকবে।

আল্লাহ পাক বলেন, “তুমি মানুষের মাঝে ন্যায়সঙ্গতভাবে রাজত্ব কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। এই ধরনের আচরণ তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দেবে। (সুরা আল ছোয়াদ: আয়াত ২৬)

মানুষের বেপরোয়া কামনা আর প্রবৃত্তির বহি:প্রকাশ হলো সকল জুলুমের মুল উৎস। এগুলোর কারণেই মানুষ অপচয় আর অপব্যয়ে লিপ্ত হয়। অযাচিত পাপে উদ্বুদ্ধ হয়। কেননা যে ব্যক্তি তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে ক্রমাগতভাবে হেদায়েতের পথ থেকে দূরে সরে যায়।

কামনা ও প্রবৃত্তির অনুসরণের মানসিকতা আসে তাড়াহুড়ো থেকে। আর ধৈর্য বা সবরের দাবি হলো নিজের প্রবৃত্তির চাওয়াকে সংযত রাখা, দমন করা। যেমন: আমরা আমাদের জিহবাকে অপরের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারি। নিজেদের চোখদুটিকেও অযাচিত বিষয় দেখা থেকে সংযত করতে পারি। যে মানুষটি জেনা না করার জন্য ধৈর্য ধারণ করতে পারে সেও অনেক বেশি গুনাহ’র হাত থেকে বেঁচে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়