মোজাম্মেল হোসেন তোহা : এ সময়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এটা হচ্ছে হিন্দুদের উপর আক্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। হিন্দুবিদ্বেষী, ঘৃণাজীবীরা এই উসকানি দিতে পারে, ফেক নিউজের কারণে ভুল বোঝাবুঝির ফলে স্পার্ক হতে পারে, আবার ভারতেই শুধু সংখ্যালঘুর উপর আক্রমণ হয় না, বাংলাদেশেও হয় এটা প্রমাণ করার জন্য ফলস ফ্ল্যাগ অ্যাটাকও হতে পারে। ইনফ্যাক্ট শেষেরটা আগেও ঘটেছে এবং এই সময় সেটা ঘটার সম্ভাবনা মোটেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কিন্তু প্রথম দুইটার সম্ভাবনা থাকলেও আলোচনার সময় সেটাকে কোনোভাবেই দিল্লির সঙ্গে একই সমীকরণে ফেলা যাবে না, যেই চেষ্টাটা অনেকেই করবে। মিডিয়ায় যতোই ইসলামিক টেরোরিজমকে ফোকাস করা হোক, বিশ্বের কোনো দেশে, কোনো এলাকায় মুসলমানদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় মদদে, পুলিশের সহায়তায়, প্রকাশ্যে এ রকম সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে না। যেসব ‘ইসলামিক টেরোরিস্ট’ গ্রুপ আছে তাদের মধ্যেও সম্ভবত একমাত্র আইসিস ছাড়া আর কেউই বিজেপি-আরএসএসের মতো ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এ রকম সহিংস মনোভাব পোষণ করে না। এ ররকম সহিংসতার উসকানি দেয় না। এ রকম সময়ে করণীয় হচ্ছে মিডিয়ার একপাক্ষিক উপস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন থাকা, কোনটা আসল সন্ত্রাস, কোনটা মিডিয়ার ইসলামোফোবিয়া, সেটা বোঝা, কোনটা দাঙ্গা, কোনটা গণহত্যার আয়োজন, সেটা পার্থক্য করতে পারা, কিন্তু একইসঙ্গে উসকানিদাতা পেজগুলো এড়িয়ে চলা বা তাদের প্রচারিত বক্তব্য শেয়ার করার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখা। ফেসবুক থেকে