কাজী ফিরোজ, ফরিদপুরের প্রতিনিধি: ফরিদপুরের গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বোয়ালমারী উপজেলার চালিনগর গ্রামে ১৬ বছরের কিশোরী কন্যাকে বাল্য বিবাহ দেয়ার আয়োজন করায় ওই কিশোরীর বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ আদালত পরিচালনা করেছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ। ওইদিন আদালতের কাছে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা দিয়েছিলেন মেয়ের বাবা কাওসার সিকদার।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট জরিমানা ও মুচলেকা দেওয়ার পরও ওইদিনই গোপনে ওই বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ছেলের বাড়ি ঘোষপুর ইউনিয়নের ভীমপুর গ্রামে বউ ভাতের আয়োজন করায় বিষয়টি আবার গোচরে আসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের। এ খবর শুনে মঙ্গলবার বিকালে ছেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বর ও বরের বাবাকে আটক করে নিজের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ইউএনও ঝোটন চন্দ।
পরে সন্ধ্যায় আদালত বসিয়ে ২০১৭ সালের বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বর আলামীনকে (২৫) ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বরের বাবা এনায়েত হোসেনকে (৫৫) একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
বরের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা কালে কনের বাবাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, আদালতের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের আয়োজন ঠেকানোর পরও এ বিবাহ দিয়ে আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়েছে ওই দু্টি পরিবার। এজন্য বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ