শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবারও উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। শুক্রবার দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য ঠিকমতো কাজ করেছেন কিনা তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তুললে আইনজীবীরা বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই জামিন পাননি। খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে সরকারের প্রতিহিংসায় আদালত প্রভাবিত হবেন না বলেও আশা প্রকাশ করেন মাহবুব হোসেন।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। নাহলে পরিণতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে পরিবারের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার প্যারোলের বিষয়ে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। কিন্তু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। মুক্তি পেলেই চিকিৎসার জন্য যাবেন লন্ডনে। বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে যে মুক্ত করা সম্ভব না তা দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছেন তারেক রহমান।
গতবছর অক্টোবর মাসের দিকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে প্রথম মুখ খোলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। কিন্তু তার ওই বক্তব্যের তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ওই সময় বলেছিলেন, যারা খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চান তারা দালাল। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের একথার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্যারোল আইনগত অধিকার। না বুঝেই দলের কেউ কেউ প্যারোলের বিরোধিতা করছেন। তার মতে, আপসহীনতা মানে ধুকে ধুকে মরে যাওয়া নয়। খন্দকার মাহবুব হোসেনের এই মন্তব্যের পর এরমধ্যে চলে গেছে প্রায় চার মাস।