শিরোনাম
◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও) ◈ চূড়ান্ত হলো বিএনপির ৩০০ আসনের মনোনয়ন, শিগগিরই ঘোষণা ◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা ◈ হাইকমিশনারকে হুমকি, নয়াদিল্লির প্রেস নোট প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ দেশের ৮ বিভাগে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:১০ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের পাঁয়তারা

আকতার বানু আলপনা : বর্তমানে দেশে পিইসি, জেএসসি পরীক্ষা চালু, সৃজনশীলের নামে জগাখিচুড়ি চালু এবং শিক্ষার্থীদের ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি কন্টেন্ট জুড়ে দিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। পড়ার চাপে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলা হয়েছে। প্রাইভেট, কোচিং, গাইড বইÑ এসবের কারণে শিক্ষার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষকসহ আরও অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। ফলে দেশের উচ্চ শিক্ষার অবস্থাও নাজুক। জেলায় জেলায় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে শিক্ষার গুণগত মান কমানো এবং বেকার বৃদ্ধির হিড়িক ফেলা হয়েছে। দলীয় ভিসি নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এতোদিন সরকারের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিলো। দলীয় ভিসির মাধ্যমে দলীয় শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষার মান ক্রমাগতভাবে কমাচ্ছে। ভিসিদের নানা অপকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকৃত চেহারা ইতোমধ্যে উন্মোচন করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সব সরকারই কোনো না কোনো অজুহাতে (শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ভোগান্তি কমানো, সময় ও টাকা বাঁচানো, ভর্তি পরীক্ষায় নকল বন্ধ ইত্যাদি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার নানা অপচেষ্টা করে এসেছে। সচেতন শিক্ষকদের বাধার কারণে এতোদিন সেটা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
এবার ষোলোকলা পূর্ণ হতে যাচ্ছে। কারণ এবার একটা যুৎসই অজুহাত পাওয়া গেছে। ‘মুজিববর্ষ’। ওয়াও! কী মজা! সেইসঙ্গে দলীয় ... চাটা ভিসিরা তো আছেনই। এবার আর যায় কোথা? এবার সরকারের কার্যসিদ্ধি হতে আর কোনো সমস্যা হবে না। আপাতদৃষ্টিতে ভালো মনে হলেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু আসলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বকীয়তা এবং দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের সবশেষ পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছু নয়। এর কুপ্রভাবে পরে অবশ্যই গোটা দেশকে ভুগতে হবে। তবুও সবাইকে ফাল্গুনি অগ্রিম শুভেচ্ছা। শুভ ফাল্গুন । ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়