শেখ আদনান ফাহাদ : বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’। সেই হিসেবে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। বাঙালি ইচ্ছা করলে সব পারে। ৭১-এ পাকিস্তান, আমেরিকাকে যুদ্ধে হারিয়ে বাংলাদেশ অর্জন। ক্রিকেটে ২০২০ সালে পরাশক্তি ভারতকে খেলার যুদ্ধে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এমনকি যুদ্ধ লাগলেও আমাদের সঙ্গে অনেক বড় শক্তি পেরে উঠবে না। এ দেশের বড় শক্তি পাবলিক। ৯ ফেব্রুয়ারি সাউথ আফ্রিকার মাঠকে মিরপুর বানিয়ে ফেলেছিলো পাবলিক।
সীমান্তে ভারতের আচরণ ঠিক হচ্ছে না। নতুন প্রজন্মকে খেপিয়ে তুলছে। মাঠে দুর্ব্যবহার করে এই ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আরেকটা কথা, আমাদের চ্যাম্পিয়ন যুবাদের জন্য এখনই বাড়ি-গাড়ি উপহার দেওয়ার দরকার নেই। বরং ভালো বেতন আর বীমা করা দরকার। কুড়েঘর থেকে উঠে আসা একজন ফাইটারকে এখনি আলিশান ফ্ল্যাট দিয়ে মাথা নষ্ট করে দেবেন না প্লিজ। বরং মাসে মাসে ভালো বেতন দেওয়া হোক। বীমা করে দেওয়া হোক। একজন শিক্ষক হিসেবে কথাটা বললাম। কথা রাখবেন কিনা নীতি নির্ধারকদের ব্যাপার।
২. অন্যায় করেছে ভারতের ক্রিকেটাররা। আনন্দবাজার নিউজ করেছে, বাংলাদেশের আচরণ নাকি প্রশ্নের মুখে! আর আমাদের মিডিয়ার একাংশ ব্যস্ত হাই কমিশনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। ভারতের পুরো মিডিয়া ভারতের পক্ষে কাজ করে। আমাদের মিডিয়ার একাংশ শুধু ভারতের হয়ে কাজ করে। আরেকটা অংশ শুধু পাকিস্তানের হয়ে কাজ করে। সরাসরি পাকিস্তান বলে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করে। এমন সাংবাদিক থাকার থেকে না থাকা ভালো। দেশের মানুষ এখন সব বুঝে। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের অবস্থা খুব খারাপ। দেশপ্রেমিক সাংবাদিক অনেক আছে এখনো। ফেসবুক থেকে