মুনশি জাকির হোসেন : গণতন্ত্রের আরেক সমস্যা হলো পুঁজিবাদের অর্থনীতি। পুঁজিবাদের তীর্থস্থান/মক্কা হলো আমেরিকা। এখান থেকেই পুঁজিবাদের সব শাখা-প্রশাখা জালের ন্যায় বিস্তৃত। কখনো হরিজন্টাল, কখনো ভার্টিকাল, আঁকাবাঁকা, সর্পিল নদীর স্রোতের মতো বহমান। পুঁজিবাদের অর্থনীতির উপরে দাঁড়িয়ে যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজের কথা বলে তারা অর্গানিক বেয়াকুফ। পুঁজিবাদের কাঠামোতে গণমানুষের মতামত/বক্তব্যের মূল্য নেই। এখানে নির্বাচন হলো বাণিজ্যে বিনিয়োগ, অন্য বিনিয়োগে সবাই কমবেশি মুনাফা অর্জন করে, ভোট বাণিজ্যে একজনেরই সেই সুযোগ থাকে।
পুঁজিবাদের কাঠামোতে পুঁজির মালিক, মুনাফা, হোয়াইট কলার ক্রাইম, ধনীক শ্রেণির দায়মুক্তিই শেষ কথা। এখানে কুত্তায় লেজ নাড়াতে পারে না, লেজে কুত্তাকে নাড়ায়। রাষ্ট্র, সরকারের গতি/প্রকৃতি নির্ধারণ করে পুঁজিপতিরা। এখানে সংসদ কী আইন তৈরি করবে, প্রশাসন কাকে ধরবে, কাকে ছাড়বে, আইন/আদালত কাকে কতোটুকও নিয়ন্ত্রণ করবে সেটিও নির্ধারণ করে পুঁজিপতিরা। একই অপরাধ/কর্ম আমজনতা করলে একধরনের ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়া পুঁজিপতিরা করলে আরেক ধরনের ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়া, সেটি থানা, পুলিশ, আদালত, হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দির সর্বত্র। গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র? নাকি পুঁজিবাদের কাঠামোতে ভোট ভোট খেলা করে গণতন্ত্র? ফেসবুক থেকে