মঈন উদ্দীন: রাজশাহীর পদ্মা নদী হতে পাঁচ জেলেকে অপহরণের ঘটনাস্থলই অস্বীকার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ। ভোল পাল্টে তারা দাবি করেছে- খরচাকা নয়, প্রেমতলী বিওপির সামনে ভারতীয় ভূণ্ড হতে আটক হয়েছে পাঁচ বাংলাদেশী। তবে তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিজিবি। এরইমধ্যে সীমানা মাপজোখ করেও দেখা হয়েছে। তাতে প্রমাণিত, সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে বিএসএফ অনুপ্রবেশ করে জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলে বন্দি রয়েছে বাংলাদেশের জেলে রাজন, নূরুজ্জামান, কাবিল, শফিকুল ও শাহীন
গত ৩১ জানুয়ারি গহমাবোনা এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিএসএফ। এঘটনার পরই বিজিবি প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। কিন্তু প্রথমে সাড়া দেয় নি বিএসএফ। পরে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নির্মল চরের সীমান্ত পিলার নং ৫৩/২/এস-এর কাছে পতাকা বৈঠক হবে। কিন্তু বিএসএফের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিজিবি’র প্রতিনিধি দল সেখানে হাজির হলেও আসে নি বিএসএফ। ফলে শুন্যহাতেই ফিরে আসতে হয় বিজিবিকে। পরে আবারো তারা বিকেল সাড়ে ৪টায় পতাকা বৈঠকের বসার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে পতাকা বৈঠক হলেও বিএসএফ বিজিবিকে জানানো হয়, ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশী ৫ জেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, পদ্মা নদী হতে ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দু’দেশেরই সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌছেঁছে। এদিকে, বিএসএফের এই অসত্য তথ্যের কড়া প্রতিবাদ করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিজিবি’র একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় আমিন দিয়ে সীমানা মাপজোখ করা হয়। এতে দেখা যায়, পদ্মা নদীর ঠিক যে স্থান হতে বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে যায় সে জায়গার অবস্থান সীমানা হতে বাংলাদেশের এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে।