মাজহারুল ইসলাম : এ লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে একই বিদ্যালয়ে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত কাউকে আর ভর্তির নামে বাড়তি ফি দিতে হবে না। এ নীতিমালার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি’র নামে অর্থ আদায় বন্ধ হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। যা পরিশোধ করতে অভিভাবকদের নাভিশ্বাস ওঠে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনও বিধান না থাকায় সরকারিভাবে বারবার সতর্ক কারার পরও তা বন্ধ হচ্ছে না। সেজন্য এ ধরনের ফি নিয়ন্ত্রণে ওই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, নীতিমালা প্রণয়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) মোমিনুর রশিদ আমিনকে প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল টিউশন নীতিমালা সংক্রান্ত সভা হওয়ার কথাও ছিলো কিন্তু পরে তা পিছিয়ে আগামী রোববার নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান মোমিনুর রশিদ বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ অনেক জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গলাগাটা টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। একই সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হলে মোটা অংকের অর্থও আদায় হয়ে থাকে। এসব বিষয়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে টিউশন ফি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। নীতিমালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সব ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এর অতিরিক্ত আদায় করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সংক্রান্ত কাজের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
কমিটির ওই সদস্য আরও বলেন, শুধু বাংলা মাধ্যম ও বাংলা মিডিয়ামে নয়, এর সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজে বেতন-টিউশন ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর টিউশন ফি, কারিকুলাম, বেতনসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একটি অভিন্ন নীতিমালার মাধ্যমে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি-টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :