এম এ মুছা : বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর হলেও এ অঞ্চলের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস তাঁত শিল্পের ওপর। নদীভাঙন, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সমস্যা, স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, তাঁত যন্ত্রাংশ, সুতা ও রংসহ উৎপাদিত উপকরণের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং সময়মতো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় দেউলিয়া হওয়াসহ নানাবিধ কারণে তাঁতশিল্প আজ তার সে ঐতিহ্য-খ্যাতি হারাতে বসেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৩ বছর ধরে এখানকার তাঁত শিল্পের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আমরা ঠিকমত বেচাকেনা করতে পারছি না। যে দাম দিয়ে রং, সুতা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করি সে তুলনায় মার্কেটে উৎপাদিত শাড়ি ও লুঙ্গি বিক্রি করতে পারি না। আমাদের এখন লোকসান দিয়ে কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ারলুম অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি হাজী বদিউজ্জামাল মন্ডল বলেন, তাঁতীদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম স্থীতিশীলতার পর্যায়ের রেখে যুগোপযোগী প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটাতে পারলে এ শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁত বোর্ডের বেলকুচি শাখার লিয়াজো কর্মকর্তা তন্নি খাতুন কথা বলতে রাজি হননি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :