মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: দক্ষিন ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চলাচলকারী জাহাজে জলদস্যুতা প্রতিরোধকারী সং¯হা (রিক্যাপ) ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে প্রথম বারের মত চট্টগ্রাম বন্দর সহ বাংলাদেশের উপকূলীয় সমুদ্র অঞ্চলকে অর্থাৎ শতভাগ নিরাপদ ঘোষণা করেন।১৫ই জানুয়ারী এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ২০ জানুয়ারী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সভা কক্ষে রিক্যাপের ডেপুটি ডাইরেক্টর মি. নিকোলাস লিও সহ পাঁচ সদস্যের একটি টিম ও পোর্ট ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি মত বিনিময় সভায় এই প্রতিবেদন বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এই সভায় মিঃ নিকোলাস চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর শফিউল বারী(এনডিসি) পিএসসি, বি এন কে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলদস্যুতা মুক্ত করার বিশেষ কৌশল অবলম্বনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
মত বিনিময় সভায় তিনি বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড বাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে উপকুলীয় অঞ্চলে জলদস্যুতা প্রতিহত করার সর্বাত্বক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যব¯হা আধুনিকায়ন করার জন্য এবং সদ্য ওঝচঝ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার জন্য বন্দরের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরিদর্শণকারী টিমের প্রধান মিঃ নিকোলাস বলেন যে, সদস্যভূক্ত দেশ সমূহের মধ্যে ২০১৯ সালে চীনে ০৩টি, ভারতে ০৪টি, ইন্দোনিশিয়ায় ২০টি, মালেশিয়ায় ০৮টি, ফিলিপাইনে ০৬টি এবং ভিয়েতনামে ০২টি নৌচুরি এবং জলদস্যুতার ঘটনা সংঘটিত হলেও বাংলাদেশ শূন্যের কোটায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন যে, ২০১৯ সালে নৌ-নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অর্জন জাপান ও সিঙ্গাপুরের পর্যায়ে রয়েছে যা যেকোন মূল্যে অক্ষুন্ন রাখতে হবে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের পরিচালক জনাব মামুনুর রশিদ বলেন যে, ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর আইএসপিএস কোড বাস্তবায়ন করে নিরাপত্তা ব্যব¯হায় ধীরে ধীরে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বাংলাদেশ ফ্রেট ফরোয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক জনাব খায়রুল আলম সুজন বলেন যে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যব¯হার উন্নয়ন মানে বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য সেবার উন্নয়োন । ২০২১ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানী বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বমানের এ নিরাপত্তা ব্যবহার খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।