ওয়াসিম ফারুক : ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এটাই ছিলো ঢাকা সিটির সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। এর পর আর ঢাকাবাসী প্রাণ খুলে তাদের প্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচনের সৌভাগ্য হয়নি। বুড়িগঙ্গা তুরাগ বালু শীতলক্ষ্যা বেষ্টিত ১৩৪ বর্গমাইলের প্রয় দুই কোটি মানুষের ঢাকাকে ২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর তারিখে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধনী) বিল, ২০১১ সালের পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে বিভক্ত করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন নামে স্বতন্ত্র দুইটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে বিভক্ত করার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো উন্নত নাগরিক সেবাপ্রদান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা নগরবাসী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ খেকে উন্নত নাগরিক সেবা তো দূরের কথা ন্যূনতম সেবাটুকু পেয়েছি কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন? আবার এসেছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন প্রার্থীরা নানান প্রতিশ্রুতি আমাদের আকৃষ্ট করছেন। আশা করছি, যারাই নির্বাচিত হবেন তারা তাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করবেন।
এখন দেখার ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও তার প্রশাসন আমাদের কেমন ঢাকা সিটি নির্বাচন উপহার দেন। জনগণ কী ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, নাকি অতীতের মতো ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নাকাল হয়ে ফিরে আসতে হবে? নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনোভাব খুবই নেতিবাচক। এমন ধারণা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। লেখক : ব্যবসায়ী