মুসবা তিন্নি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বীজতলায় দেখা দিয়েছে হলুদ ফ্যাকাসে রঙ। এতে বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন উপজেলার কৃষকরা। কিন্তু কৃষি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জানা গেছে, চারা ও গাছ একটু বড় হতে না হতেই ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কবলে পড়ে বোরোর বীজতলা। বৃষ্টি কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বোরো বীজতলার গাছগুলো ফ্যাকাসে রং ধারণ করেছে। এতে উপজেলার কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা।
তবে কৃষি বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে হতাশা হওয়ার কোনো কারণ নেই। শীতের কারণে বীজতলার রং পরিবর্তন হয়েছে। এতে বীজতলার কোনো ক্ষতি যেন না হয় সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দুর্গাপুরের শানপুকরিয়া গ্রামের আমিনুল বলেন, বোরো রোপণ করতে উন্নত জাতের বীজ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছি। কিন্তু চারাগুলো বেশ পুষ্ট হলেও ঘন কুয়াশা, বৃষ্টি ও বাতাসে বীজতলা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। অনেক চারা মরার মত হয়ে যাচ্ছে। ফলে জমির জন্য চারাগাছ সংকট দেখা দিতে পারে। তবে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তারপরও সংশয় থেকে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করতে দেখা গেছে। মাঠ কর্মীদের পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারাও অফিসে বসে নেই। তাদের খোঁজ মিলে মাঠে গিয়ে। কৃষকদের খোঁজ-খবর নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-মাঠ কর্মীরাও ব্যস্ত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় বীজতলায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও ক্ষতির সম্ভবনা নেই। শীত বা কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে বীজতলা রাতের দিকে ঢেকে রাখাসহ সকালে বীজতলায় সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশা ঠান্ডা পানি ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বীজতলার ফ্যাকাসে রঙ হলেও কোনো ক্ষতি হবে না। মাঠ কর্মীরা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকছেন এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বীজতলার চারা জমিতে রোপণ করা হবে।