মাসুদ আলম, মামুন খান : বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর এলাকা থেকে ধর্ষক আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আবুল হোসেন নামে এক মুরগি ব্যবসায়ী মহাজনের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা ধার নেয় ওই কিশোরীর বাবা লিটন। আবুল হোসেনের দোকানে চাকরি করতো লিটন,পাশাপাশি ভ্যান চালাতো। টাকা শোধ না করতে পারায় মেয়েকে তার হাতে তুলে দেয়। ওই মহাজন মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। গত ১১ জানুয়ারি ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে এক প্রতিবেশী নারীকে ঘটনাটি জানায়। ওই প্রতিবেশী ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে লিটন কারাগারে আছে।
কিশোরী তার বাবার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় থাকেন। আবুল ওই কিশোরীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দিলে লিটন রাজি হন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় লিটন তাকে মারধর করতো। কখনও কখনও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ওই মহাজনের কাছে দেয়া হতো মেয়েটিকে। এ ঘটনায় এক প্রতিবেশি বাদী হয়ে লিটন ও আবুল হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ভিকটিমের বাবা ২০১৯ সালে আবুলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলো। মেয়েটির মা বিদেশে থাকেন।