শেখ মিরাজুল ইসলাম : শরীয়ত বয়াতি তার সেই রাতে চলতি আঞ্চলিক ভাষায় বাহাসে বলেছেন, যাকে-তাকে হুজুর বা মাওলানা বলবেন না। তিনি রাসূল (সা.) ছাড়া কাউকে ‘হুজুর’ সম্বোধন করতে রাজী নন। মাওলানা শব্দের অর্থ ভেঙে বলেছেন, ‘মাওলা’ মানে প্রভু আর ‘আনা’ মানে আমি অর্থাৎ মাওলানা মানে আমি প্রভু। সুতরাং যাদের আমরা মাওলানা বলি তারা কি আমার প্রভু? বোঝা যাচ্ছে শুধু ‘গান বাজনা হারাম’ বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ করেই বয়াতি গ্রেপ্তার হয়েছেন ব্যাপারটা তা নয়। এটা একটা উসকানিমূলক উসিলা।
বয়াতি মূলত প্রান্তিক জনপদে ধর্মের নামে ওয়াজ মাহফিল করা ওইসব ব্যবসায়ী ‘হুজুর/মাওলানাদের’ চোখে আঙুল তুলেছেন। সেইসঙ্গে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কবিগান ও নব্য ওয়াহাবী তরিকার ওয়াজ মাহফিলের সামাজিক সংঘাতটাকে স্পষ্ট করেছেন। এখন বলেন আপনারা কার মুক্তি চান? বিতর্কের জবাব বিতর্ক দিয়েই হোক। এটাই রীতি। কিন্তু তার খিস্তির জন্য কিংবা অন্যকে ব্যক্তি আক্রমণের জন্য তাকে যখনই রিমান্ডে নেয়া হলো তখনই বয়াতি একজন নির্যাতিত নাগরিক। বয়াতির বক্তব্যের সঙ্গে অমত থাকতেই পারে।
আপনার মতামত লিখুন :