আশরাফুল, নওগাঁ প্রতিনিধি: নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নওগাঁয় চলছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্বল্পতার কারণে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে আসা রোগীরা তাদের কাছে একপ্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বিআরটিএ অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘গ’ সিরিয়ালে প্রাইভেটকার এবং ‘ঠ’ সিরিয়ালে পিকআপের রেজিস্ট্রেশন থাকে। এছাড়া ‘ছ’ সিরিয়ালে হয় অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশন। আর ‘ছ’ সিরিয়ালে ‘৭১ ও ৭৪’ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর হবে
নওগাঁ থেকে রাজশাহীতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতি কিলোমিটার যাওয়া-আসা ১০ টাকা হিসেবে ১ হাজার ৮৫০। সেখানে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২ হাজার ৯শ টাকা। অপরদিকে নওগাঁ থেকে বগুড়াতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১ হাজার ২৫০ টাকা। সেখানে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ২ হাজার ৩শ টাকা। যা প্রায় দ্বিগুন ভাড়া।
সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পাওয়ায় রোগীদের কাছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সই রোগীদের ভরসা। অ্যাম্বুলেন্স গুলোর ভেতরে রোগীদের শুয়ে থাকার সিটও ভাল নেই। এমনিকে রোগীর স্বজনদেরও অনেক কষ্ট করে বসতে হয়। এসব অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে যাওয়াটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
রোগীদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, নওগাঁ সদর ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে একটি মাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। প্রায়ই সময় নষ্ট হয়েই পড়ে থাকে।
নওগাঁ বিআরটিএ সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মো: মিনহাজ উদ্দিন বলেন, যে মাইক্রোবাসটি ইমপোর্ট হয়ে আসে সেটাকে অ্যাম্বুলেন্সে রুপান্তর করা যায়না। কারণ রেজিস্ট্রেশন একবারই হয়। মাইক্রোবাস কেটে অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা অবৈধ।
অবৈধভাবে অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করার বিষয়টি আমরা অবগত নয়। কোনো অসাধু চক্র এটা করতে পারে। মাইক্রোবাস কেটে যদি অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হয় তাহলে ফিটনেস ও রেজিট্রেশন বিহীন অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সম্পাদনা : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :