রাজু চৌধুরী : চট্টগ্রাম নগরজুড়ে নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনকারীদের মামলা দেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি ) ট্রাফিক বিভাগ। প্রথম দিনেই ১৩ মামলার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ২৩ হাজার টাকা।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে সিএমপি ট্রাফিকের দুটি বিভাগের মধ্যে সীমিত পরিসরে এই কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অমান্য করায় ১৩টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই ডিভিশনে লাইসেন্স না থাকায় ২টি, চালক ও যাত্রীর হেলমেট না থাকায় ৮টি, মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় অথাৎ তিনজন যাত্রী থাকায় ১টি ও উল্টো পথে গাড়ি চালানোর দায়ে ২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) সূত্রে জানা যায়, প্রথমদিনে আইন লঙ্ঘনের দায়ে আমাদের উত্তর বিভাগে ৩টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ১টি মামলা চালক ও যাত্রীর হেলমেট না থাকায় এবং আরো দুটি উল্টো পথে গাড়ি চালানোর দায়ে করা হয়েছে। প্রতি মামলায় ১ হাজার করে তিন মামলায় মোট ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের (বন্দর) ইনর্চাজ মো. মিজানুর রহমান বলেন, নতুন আইনে আমাদের বন্দর ডিভিশনে মোট ১০টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২টি মামলা, মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় অর্থাৎ তিনজন যাত্রী থাকায় ১টি মামলা হয়েছে। বাকি ৮টি মামলা হয়েছে চালক ও যাত্রীর হেলমেট না থাকায়।
তিনি আরো বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় প্রতি মামলায় ৫ হাজার করে দুই মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা ও বাকি আট মামলাতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমির জাফর বলেন, সড়ক ও পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হলেও বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় এতদিন আমরা এর প্রয়োগ করতে পারিনি। তবে আজ থেকে স্বল্প পরিসরে এই আইন অমান্যকারীদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ট্রাফিক উত্তর বিভাগে ৩টি মামলা করা হয়েছে। এরপর থেকে রাষ্টপ্রতির আগমন উপলক্ষে অফিসাররা ডিউটিতে ব্যস্ত ছিল। তাই এদিকে সময় দিতে পারেনি। কিন্ত আমাদের টার্গেট ছিল দুই ডিভিশনে প্রাথমিকভাবে ৫টি করে ১০টি মামলা করে সতর্ক করা।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস হয়। তবে তা এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। তবে নতুন আইন বাস্তবায়নে সহায়তা না করে উল্টো পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে দেশের অচল অবস্থা তৈরির অপচেষ্টা চালিয়েছিল সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার