আব্দুম মুনিব: কুষ্টিয়ার ভেড়ারামায় ইভটিজিং এ বাধা দেয়ায় দুই সহদরকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এই মামলার প্রধান আসামি মো. আরিফ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার সময় আসামিদের উপস্তিতিতে কুষ্টিয়ার নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুন্সি মশিয়ার রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, কাবুল প্রমানিকের ছেলে কামরুল প্রমানিক এবং সুমন প্রমানিক, নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।
সরকার পক্ষের আইনজীবী এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে ভেড়ামারার ফকিরাবাদ গ্রামের রতন আলীর কন্যা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী তৃষাকে একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আরিফ মালিথা স্কুল থেকে ফেরার পথে ইভ টিজিং করে।
তৃষার বাবা রতন এবং তার স্বজনরা এর প্রতিবাদ করলে আসামিদের সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ৮দিকে রতনের বাবা এবং দুই চাচা নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরারর পথে পরানখালী রাস্তার উপর আসামিরা তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই রতনের বাবা মুজিবর রহমান মাস্টার এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে চাচা মিজানুর রহমান মারা যায়।
এই ঘটনায় রতনের ভাই জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মুন্সি মশিউর রহমান এই রায় প্রদান করেন। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক