শিরোনাম
◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে ◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের ◈ ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন: ৭০ ইন্টারসেকশনে নতুন বিন্যাসে গতি দ্বিগুণ, যানজট কমেছে ◈ নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ গণআন্দোলন রুখতে কড়া প্রস্তুতি: গবেষণায় নামছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ: ‘জাপান ডেস্ক’ চালু, ভাষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভয়ঙ্কর ধূলার ঝড়ে মঙ্গলের জল উধাও হয়ে যায়

মাজহারুল ইসলাম : উদ্দাম ধুলোর ঝড়ে গত বছর উত্তাল হয়ে উঠেছিলো লাল গ্রহ মঙ্গল। এমনই ভয়ঙ্কর ধুলোর ঝড় গোটা মঙ্গলগ্রহটা ঢেকে ফেলেছিলো। তাতে প্রাণ যায় মঙ্গলে নাসার পাঠানো মহাকাশযান রোভার অপরচুনিটির। ওই ঝড় এর সবকটি যন্ত্রকে বিগড়ে দিয়ে চির দিনের মতো ওই মহাকাশযানটিকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলো। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কয়েকশো কোটি বছর আগে ধুলোর এমনই ভয়ঙ্কর ঝড়ে এই লালগ্রহের সবটুকু জল মহাকাশে উধাও হয়ে যায়। আনন্দবাজারপত্রিকা
এসব ঘটনার মূল গবেষক ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস হিভেন্স বলেছেন, প্রতি বছরই ধুলোর মেঘের স্তম্ভ তৈরি হয় লালগ্রহ মঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে। আবার তার এক থেকে দেড়দিনেই সেই স্তম্ভগুলি ভেঙে পড়ে। কিন্তু গত বছর ঘটেছিলো এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সে সময় ধুলোর মেঘের স্তম্ভগুলি কিছুতেই ভাঙছিলো না। ওইসব উঁচু উঁচু স্তম্ভগুলি টিঁকে ছিলো ৩ থেকে সাড়ে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত। সেই স্তম্ভগুলি গোটা মঙ্গল গ্রহটাকেই ঢেকে দিয়েছিলো।

ওই গবেষণা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন, ঘন জমাট বাঁধা ধুলোর মেঘের উঁচু উঁচু স্তম্ভগুলি তৈরি হয়েছিলো মঙ্গলের পিঠের সেই জায়গায় যেখানে খুব ধুলো উড়ছে। আমাদের রোড আইল্যান্ড যতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে, লাল গ্রহের পিঠে সেইটুকু জায়গা থেকেই উঠে আসা ধুলোয় তৈরি হয়েছিলো মেঘের সেই উঁচু উঁচু স্তম্ভগুলি। গত বছর গোটা মঙ্গল জুড়ে যখন চলছে ভয়ঙ্কর ধুলোর ঝড়, তখন সেই মেঘের স্তম্ভগুলি লাল গ্রহের পিঠ থেকে ৫০ মাইল বা ৮০ কিলোমিটার উপরে উঠে গিয়েছিলো। এরপর যখন সেই ধুলোর মেঘের স্তম্ভগুলি ভাঙতে শুরু করে, তখন তা মঙ্গলের পিঠ থেকে ৩৫ মাইল বা ৫৬ কিলোমিটার উপরে ধুলোর একটা পুরু স্তর তৈরি করেছিলো। মেঘগুলির মধ্যে ছিলো প্রচুর জলীয় বাস্পের কণা। মেঘগুলি যতো উপরে উঠেছে, সূর্যের আলো আর মহাজাগতিক রশ্মিসহ নানা ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মেঘের ভিতরে থাকা জলীয় বাষ্পের কণাগুলিকে ততো বেশি করে ভেঙে দিয়েছে। মঙ্গল থেকে উধাও হয়ে গেছে জলের বিন্দুগুলি।

এসব কারণে নাসার গবেষকরা দাবি করেন, কয়েকশো কোটি বছর আগে হয়তো এভাবেই মঙ্গলের বুক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলো তার জলের ভাÐার। তবে অতো বড় ধরনের ধুলোর ঝড় হয় এক দশক বা তার কিছু বেশি সময়ে বড়জোর এক বার। তেমনি ভয়ঙ্কর ঝড় হয়েছিলো গত বছর। ওই সময় নাসার বেশ কয়েকটি মহাকাশযান ছিলো মঙ্গলের আশপাশে। ওইসব মহাকাশযান তেমনি ঝড়ের ছবি পাঠিয়েছিলো। সেগুলির ভিত্তিতেই প্রকাশিত হয়েছে হালের দুটি গবেষণাপত্র।
সা¤প্রতিককালের ওই গবেষণা থেকে জানা যায়, গত এক দশকের মধ্যে ধুলোর এতটা উদ্দাম ঝড়ে আর তোলপাড় হয়নি লাল গ্রহ। এমন ভয়ঙ্কর ধুলোর ঝড় মঙ্গলে হয়েছিলো ১১ বছর আগে, ২০০৭ সালে। তবে কেন এক দশকে একবার করে এই ভয়ঙ্কর ধুলোর ঝড় ওঠে লাল গ্রহে, তা নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখনও ধোঁয়াশায়। কারণ, এমন ধুলোর ঝড়ের দেখা মঙ্গলে আর মেলেনি বলে বিজ্ঞানীরাও তা নিয়ে তেমনভাবে গবেষণার সুযোগই পাননি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়