নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাশীল নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যুগান্তর
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছর অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছি। যার কারণে পৃথিবীর অর্থনীতির আঙিনায় এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ পৃথিবীর অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে চলেছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত ২৮ আগস্ট দ্য স্পেক্টেটর ইনডেক্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, গত দশ বছরে সারা বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। পৃথিবীর প্রথমসারির অন্যান্য দেশের যেমন চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭৭ শতাংশ আর ভারতের ১১৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ৯৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ। অন্যদের অবস্থান আরও অনেক পিছিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক অতি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে শতকরা ৮ ভাগ। যা হবে এশিয়া মহাদেশের সব দেশের উপরে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য উপাত্তের উপরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৩৬তম অবস্থানে যাবে, আর ২০২৮ সালে অবস্থান হবে ২৭তম এবং ২০৩৩ হবে ২৪তম অর্থনীতির উন্নতির দেশ। সেই সময় আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।’
তিনি বলেন, ‘অনুরূপভাবে সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংক বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেবিড ম্যাগ তার গবেষণা তথ্য এবং আইএমএফ'র তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে দেখেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের চেয়ে বেশি। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার। আর তখন ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার।’