শিউলী আক্তার : টি-টোয়েন্টি মানেই রান ও ছক্কার ফুলঝুরি হবে সেটাই স্বাভাবিক। দর্শকরা সেটাই চায়। ম্যাচগুলো যেনো চার ছক্কার বৃষ্টি নামুক। তেমনি এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)। যে ম্যাচটি প্রায় ৫০০ রানের ম্যাচ, ছক্কা ৩৭টি- সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে যেনো ছক্কার বৃষ্টি নেমেছিলো।
সিপিএলের এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২৪১ রান করেছিলো জ্যামাইকা তালওয়াস। যেটি সিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। রেকর্ডটা ভেঙে যেতে দুই ঘণ্টাও লাগেনি। জ্যামাইকার ২৪১ রান সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিলস প্যাট্রিয়টস পেরিয়ে যায় ৭ বল বাকি থাকতে। জিতে নেয় ৬ উইকেটে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি সফলভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। গত বছর অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৭ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া।
জ্যামাইকার হয়ে ক্রিস গেইল করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ২২তম সেঞ্চুরি। বাঁহাতি ওপেনার মাত্র ৬২ বলে ৭ চার ও ১০ ছক্কায় খেলেন ১১৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গে সিপিএলের রেকর্ড ১৬২ রানের জুটি গড়ার পথে ৩৬ বলে ৭৩ রান করেন চাঁদউইক ওয়ালটন।
লক্ষ্য তাড়ায় এভিন লুইস ও ডেভন থমাসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৬ ওভার ৫ বলেই দলীয় একশ ছুঁয়ে ফেলে প্যাট্রিয়টস। লুইস ফিফটি তুলে নেন সিপিএলের দ্রুততম ১৭ বলে। ১৮ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন ৫৩ রান। ৪০ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রান করেন থমাস।
মাঝে দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো প্যাট্রিয়টস। তবে শামার ব্রুকসের ১৫ বলে ২৭ ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের ১৫ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের সুবাদে এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান অ্যালেন।
জ্যামাইকার ইনিংসে ছক্কা হয়েছে ২১টি, প্যাট্রিয়টসের ব্যাটসম্যানরা মেরেছেন ১৬টি ম্যাচের ৩৭ ছক্কা কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ। গত বছর আফগান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল ম্যাচেও হয়েছিলো ৩৭ ছক্কা।