শিরোনাম
◈ ঢাকা মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত ◈ সংকট কাটিয়ে যেভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে এলেন তারেক রহমান ◈ লোভে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব সংকটে: হাসনাত আবদুল্লাহ’র সমাবেশে হুঁশিয়ারি (ভিডিও) ◈ দেশকে আরও স্বনির্ভর করা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞা, নাগরিক নজরদারি দণ্ডনীয়—নতুন টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ অনুমোদিত ◈ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ ◈ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রুমিন ফারহানার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিলেন মনোনয়ন ◈ হাইকোর্টের আদেশে ধাক্কা, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না ◈ ভার‌তের বিহারে মুসলমান ফেরিওয়ালাকে যেভাবে 'গণপিটুনি' দিয়ে হত্যা করা হলো

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৩ বিকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা পুরোপুরি নিষিদ্ধের আহ্বান রিপাবলিকানদের

ইমা এলিস/বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এক রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এইচ-১বি অস্থায়ী ভিসা কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার টেক্সাসের প্রতিনিধি বেথ ভ্যান ডুইন রক্ষণশীল ভাষ্যকার বেনি জনসন–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এইচ-১বি–এর মতো অভিবাসন কর্মসূচির 'অনিচ্ছাকৃত পরিণতি' নিয়ে রাজনীতিকরা যথাযথভাবে ভাবেননি।

তিনি বলেন, এই এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচি এখনই বন্ধ করা উচিত—যতক্ষণ না আমরা বুঝতে পারি এটি কীভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে—অথবা এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে যেন এটি বর্তমান রূপে আর না থাকে। বর্তমানভাবে এটি চলতে পারে না।

মন্তব্য জানতে নিউজউইক নিয়মিত সময়ের বাইরে ফোনে ভ্যান ডুইনের ওয়াশিংটন ডিসি অফিসে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক সাড়া পায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে চালু হওয়া এইচ-১বি কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো 'বিশেষায়িত পেশায়' অস্থায়ীভাবে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে পারে।

যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশীয় প্রতিভার ঘাটতি মোকাবিলায় এইচ-১বি ভিসাকে প্রয়োজনীয় বলে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁর প্রশাসন প্রবেশের শর্ত আরও কঠোর করেছে এবং নতুন আবেদনে ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেছে।

এমনকি ক্ষতির সতর্কবার্তা সত্ত্বেও একাধিক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা এইচ-১বি ধাপে ধাপে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বা প্রস্তাব এনেছেন—যা এই কর্মসূচির ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায় ও কোম্পানিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে সমালোচকেরা বলছেন।

২০২৫ সালের শুরুর দিকে ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার এইচ-১বি ভিসাধারী ছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়োগে প্রাধান্য পেয়েছে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান—যেমন আমাজন, মেটা এবং মাইক্রোসফট, এছাড়া আর্থিক ও পেশাদার সেবা খাতের বিভিন্ন কোম্পানি।

অভিবাসনপন্থী সংগঠন এফডাব্লিউডি.ইউএস–এর হিসাবে, এইচ-১বি ভিসাধারীরা প্রতিবছর অর্থনীতিতে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখেন এবং প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার কর পরিশোধ করেন।

এই প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক এইচ-১বি কড়াকড়ির সমালোচনা হয়েছে; এতে কিছু কোম্পানি কর্মসূচির ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে। নতুন ১ লাখ ডলার ফি নিয়ে একদল রাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেছে।

তবে সমালোচকেরা বলেন, এই কর্মসূচি বড় কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দেয়, বিদেশি কর্মী এনে দেশীয় মজুরি চাপে ফেলে এবং মার্কিন কর্মীদের স্থানচ্যুত করে।

মঙ্গলবার ভ্যান ডুইন বলেন, এইচ-১বি ধাপে ধাপে বন্ধ করা একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ—যার লক্ষ্য 'অভিবাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ' এবং এতে ১৯৬৫ সালের হার্ট-সেলার আইন বাতিলের কথাও রয়েছে। ওই আইনটি ইউরোপীয় অভিবাসীদের পক্ষে জাতিগত কোটার অবসান ঘটিয়ে পরিবারভিত্তিক পুনর্মিলন ও দক্ষতাভিত্তিক অভিবাসনকে অগ্রাধিকার দেয়।

এইচ-১বি নিয়ে ভ্যান ডুইনের দাবি, 'এই কর্মসূচি বর্তমান রূপে চলতে পারে না, কারণ এটি নিঃসন্দেহে আমাদের আমেরিকান কর্মীদের ক্ষতি করেছে।'

অন্যান্য রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারাও একই সুরে কথা বলেছেন। নভেম্বর মাসে প্রতিনিধি মার্জোরি টেলর গ্রিন জানান, তিনি এইচ-১বি কর্মসূচি আক্রমণাত্মকভাবে ধাপে ধাপে বন্ধ করে 'আমেরিকান কর্মীদের গণহারে প্রতিস্থাপন' শেষ করতে একটি বিল আনবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়